এদিকে এই হয়রানির জেরে বোর্ডের দফতর এবং জন্তরমন্তরে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, প্রায় হাজার খানেক পড়ুয়া প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে গিয়েছিল। ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে প্রশ্নপত্র কিনেছে বহু পড়ুয়ার বাবা-মা। পরে ফের সেই প্রশ্ন বিক্রি হয়ে যায় অন্য পড়ুয়ার হাতে। প্রায় ৩৫ থেকে ৫ হাজারের মতো দিলেই হাতে পাওয়া গিয়েছে সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, খবর সূত্রের।
এফআইআরে উল্লেখ রয়েছে শুক্রবার সিবিএসই দফতরে একটি ফ্যাক্স এসে পৌঁছয়। সেখানে দিল্লির রাজিন্দর নগরের এক কোচিং সেন্টারের কথা উল্লেখ করা হয়। সেখানকারই এক ব্যক্তি, নাম ভিকি, সে এই প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রশ্নফাঁস প্রসঙ্গে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী...
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে ফোন করেছিলেন। তাঁর বিরক্তির কথা জানিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। প্রশ্নফাঁস প্রসঙ্গে জাভড়েকরের দাবি, শিক্ষামন্ত্রক নয়, পুরো পরীক্ষা ব্যবস্থাটি নিয়ন্ত্রণ করে সিবিএসই। সেখানে দুটো থেকে তিনটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, এবং সেটাওএ পরীক্ষার তিরিশ মিনিট আগে। তবে এই ঘটনার অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। সিবিএসই প্রধান অনিতা কারওয়ালের দাবি, বোর্ডের গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখতে এবং পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবেই তাঁরা পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনকে জেরা করেছে পুলিশ। এরমধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের মালিক, ১৮ জন পড়ুয়া এবং কয়েকজন শিক্ষক।