বৃহস্পতিবার যোধপুরে রাফাল যুদ্ধবিমান সম্পর্কে খুঁটিনাটি খোঁজ নিয়ে ওড়ানোর প্রস্ততি শুরু করে দিয়েছেন জেনারেল রাওয়াত। সেনাবাহিনীর এক অফিসার জানিয়েছেন, রাফাল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফকে। বুধবার থেকে ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথভাবে চলছে রাফালের মহড়া।
ইতিমধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার আস্তিনে তা যুক্ত হয়ে গেলেও সরকারিভাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে জনসাধারণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে রাফাল যুদ্ধবিমানের সঙ্গে। তার আগে যোধপুরে চারদিন ধরে চলছে তাদের মহড়া।
২০১৬ সালের অক্টোবরে ফ্রান্সের সঙ্গে সরাসরি সরকার পর্যায়ের চুক্তির মাধ্যমে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনে ভারত। মূল যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনার দাবি অনুযায়ী সর্বাধুনিক সেন্সর ও প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভারতীয় রাফালে অন্তর্ভুক্ত হওয়া সরঞ্জামের তালিকায় রয়েছে হেলমেট মাউন্টেড সাইট, রাডার ওয়ার্নিং রিসিভার, ১০ ঘণ্টার ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার, ইনফ্রারেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাকিং সিস্টেম, জ্যামার, অধিক উচ্চতায় থাকা জায়গা থেকে টেক-অফের জন্য কোল্ড ইঞ্জিন স্টার্ট কেপাবিলিটি, টাওড ডিকয় ফর ইনকামিং মিসাইল।
রাফাল যুদ্ধবিমানে রয়েছে অত্যাধুনিক হাতিয়ার ও ক্ষেপণাস্ত্র। এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য মেটেওর মিসাইল। এই মিসাইল এশিয়ার কোনও দেশ তো দূরের কথা, চিনেরও নেই।
রাফাল যুদ্ধবিমান ৪.৫ জেনারেশন মোড ওমনি-পোটেন্ট রোল এয়ারক্র্যাফ্ট। মাল্টিরোল হওযার কারণে জোড়া ইঞ্জিনের রাফাল যুদ্ধবিমান এয়ার সুপ্রিমেসি অর্থাৎ আকাশে দাপট বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে শত্রুপক্ষের সীমায় ঢুকে আক্রমণ চালাতে সক্ষম। অর্থাৎ, আকাশে রাফাল উড়তে থাকলে কয়েকশো কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রুপক্ষের কোনও বিমান, হেলিকপ্টার বা ড্রোন ধারেকাছে আসতে পারবে না। সেইসঙ্গে শত্রুপক্ষের সীমায় ঢুকে বোমাবর্যণ করে ঘায়েল করতে পারে।
এ জন্যই রাফালকে মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান বলা হয়।