ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের ২৮ নভেম্বরের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে কংগ্রেসের ইস্তাহারে রাজ্যে সরকারি দপ্তরে আরএসএসের শাখা নিষিদ্ধ করা, সরকারি কর্মীদের সেখানে হাজিরা দেওয়া বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই দিগ্বিজয় সিংহের সাফাই, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এমন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে। কংগ্রেসের মধ্যপ্রদেশের এই শীর্ষ নেতার মত, তাঁদের ইস্তাহারে কৃষক, যুবক, গরিব, আদিবাসী, দলিত ও বাকিদের জন্য ৯৫ শতাংশ প্রতিশ্রুতির কথা না বলে এমন এক ইস্যু নিয়ে হইচই করা হচ্ছে যা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের জমানায় ইতিমধ্যেই কার্যকর রয়েছে। কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী, কর্তা আরএসএসের শাখায় যেতে পারবেন না, এই নির্দেশও এখনও বহাল রয়েছে। সরকারি দপ্তর বা ভবনে আরএসএসের শাখা আয়োজনেরও অনুমতি নেই। অনেক রাজ্যেও এমন অর্ডার চালু আছে বলেও দাবি করেন দিগ্বিজয়।
বলেন, মধ্যপ্রদেশেও জনসঙ্ঘ ও বিজেপি সরকারের আমলে বীরেন্দ্র কুমার সকলেচা, কৈলাস জোশী, সুন্দরলাল পাটোয়া, উমা ভারতী, বাবুলাল গৌর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে এই নিয়ম বহাল ছিল। আমরা শুধু তা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছি। মহাত্মা গাঁধী হত্যাকাণ্ডের পর আরএসএসকে একসময় নিষিদ্ধ করেছিলেন দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেল।
রাজ্যে কারও আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা নেই, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের এই দাবির ব্যাপারে দিগ্বিজয়ের কটাক্ষ, শিবরাজজি তবে নরেন্দ্র মোদীকে কেন্দ্রীয় সরকারি ভবনে শাখার আয়োজনের অনুমতি দিতে বলুন না!
গতকাল শিবরাজ বলেন, আরএসএস দেশপ্রেমিকদের সংগঠন, প্রত্যেক জাতীয়তাবাদী ও সরকারি কর্মী তার শাখায় হাজিরা দিতে পারেন।
শনিবার প্রকাশিত ইস্তাহারে কংগ্রেস বলে, সরকারি দপ্তরে আরএসএস শাখার আয়োজন নিষিদ্ধ করে সরকারি কর্মীদের সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য ছাড় দেওয়া সংক্রান্ত অর্ডারও বাতিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮১-তে কংগ্রেস সরকার মধ্যপ্রদেশে আরএসএসের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করে। সেই নিষেধাজ্ঞা ২০০০-এ ফিরিয়ে আনেন তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ, পরে বহাল রাখেন দুই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতী, দিগ্বিজয় সিংহ। তবে ২০০৬ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন শিবরাজ।