আগরতলা: ত্রিপুরার সার্বিক উন্নয়নের জন্য সেখানকার নবগঠিত বিজেপি সরকারকে সমস্ত রকম সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


এদিন রাজ্যের প্রথম বিজেপি সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোদী। সেখানে তিনি জানান, উন্নয়নের ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রচুর সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, আমি ত্রিপুরাবাসীকে আবেদন করছি, আসুন রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাই, যাতে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়। আমি আশ্বাস দিতে চাইছি যে, ত্রিপুরার এই উন্নয়নের সফরে কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ণ সহযোগিতা দেবে এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরার উন্নয়নে নতুন সরকার প্রত্যেক রাজ্যবাসী ও সমাজের প্রতিটি শ্রেণিকে একসঙ্গে নিয়ে চলবে। তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য হবে উন্নয়ন, সুশাসন, জনতার অংশগ্রহণ এবং ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’। প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, আমি প্রধামনন্ত্রী হিসেবে উত্তর-পূর্বে একাধিকবার সফরে এসেছি। এটুকু বলতে চাই, উত্তর-পূর্বের সমস্যা বোঝে ভারতবাসী এবং প্রত্যেক দেশবাসী উত্তর-পূর্বের পাশে থাকবে।





প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসন ধসিয়ে প্রথমবার ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিপ্লব দেব আজ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, লালকৃষ্ণ আডবাণী প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন শিবরাজ সিংহ চৌহান, বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার মত দেশের অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু, বিজেপি নেতা রাম মাধব, ভূপেন্দ্র যাদব, অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রমুখ।



আজ বেলা বারোটায় অসম রাইফেলস ময়দানে শুরু হয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। বিপ্লব দেবের পাশাপাশি উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন জিষ্ণু দেববর্মা। গতকাল সন্ধেয় সিপিএমের রাজ্য দফতরে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে  থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন বিজেপি নেতা রাম মাধব ও ভাবী মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব। সন্ধেয় ত্রিপুরা বামফ্রন্টের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ হওয়া সত্বেও সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান জানাতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন মানিক সরকার সহ ৩ বাম বিধায়ক।


বিজেপি-আইপিএফটি জোট গত সপ্তাহে ত্রিপুরায় প্রায় তিন দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। ৬০টির মধ্যে ভোট হয় ৫৯টি আসনে। বিজেপি জেতে ৩৫টি আসন, আইপিএফটি ৮টি। ১টি আসনে সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যুর জেরে ভোটগ্রহণ হতে পারেনি। আইপিএফটি সভাপতি এনসি দেববর্মা দাবি করেছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় ২টি দফতর পাবেন তাঁরা।