নয়াদিল্লি: গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কাউন্টার ইনটেলিজেন্স অপারেশন। উপত্যকায় হিংসা ছড়ানোর পিছনে যারা, তাদের নিখুঁতভাবে সরিয়ে দেওয়া। হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর ৮ জুলাই থেকে যেভাবে উপত্যকায় হিংস্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তা দ্রুত শেষ করতে এই পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য, নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যা বাড়িয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে অশান্তি বন্ধ করা। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কেন্দ্রকে জানিয়েছে, উপত্যকার অশান্তি দ্রুত ধর্মীয় কট্টরপন্থার চেহারা নিচ্ছে, যার ফলে এলাকায় আইএসআইএস মাথা চাড়া দিতে পারে।


সেনাকে মূলত মোতায়েন করা হয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীরে। কারণ আন্দোলনের প্রচণ্ডতার ফলে সেখানে কার্যত রাজ্য পুলিশ বা আধা সামরিক বাহিনীর কোনও অস্তিত্ব নেই। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, মূলত জঙ্গিরাই এ ধরনের হিংস্র আন্দোলন পরিচালনা করছে, পাথর ছোঁড়ায় উৎসাহও দিচ্ছে তারা। এই জঙ্গিদের ঠাণ্ডা করার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনার নজরদারি আরও বাড়ানো হবে, নজর রাখা হবে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে শহর ও গ্রামগুলিতে, যাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে জঙ্গিরা এ পাশে ঢুকে পড়তে না পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেই সেনাকে ছাউনিতে ফেরানো হবে বলে কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর। আবার আগের মত কাজ শুরু করবে রাজ্য পুলিশ ও সিআরপি। গোটা পরিস্থিতি শান্ত করতে তাদের মতে সপ্তাহদুয়েকের বেশি লাগবে না।

তবে কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তরুণসমাজের প্রতি নরম মনোভাব নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বিশেষত তাদের ছাড় দেওয়া হবে, যাদের কোনও ক্রিমিন্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জম্মু কাশ্মীরের বাইরে পড়াশোনা করা ওই রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধের বিষয়গুলি বুঝতে মন্ত্রিপর্যায়ের একটি কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন। স্কলারশিপের টাকা আটকে যাওয়ায় এই সব ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা যাতে কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।