মুকুল জানিয়েছেন, আজ তিনি রাজনাথের জবাব পেয়েছেন। তাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, আপনার ৩ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখের চিঠি পেয়েছি, যাতে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আপনার গতিবিধি, কার্যকলাপের ওপর নজরদারি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মুকুল এদিন দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে তাঁর ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, গত কয়েক মাসে তিনি রাজ্যে, দিল্লিতে থাকাকালে লাগাতার নজরদারির আওতায় ছিলেন। তাঁর আবেদনটি বিচারপতি ভিখু বাখরুর বেঞ্চে নথিভুক্ত হয়েছে। শুনানি হবে ২০ নভেম্বর। পিটিশনে বলা হয়েছে, যে দুটি টেলিকম সংস্থার পরিষেবা মুকুলবাবু ব্যবহার করেন, সেই ভোডাফোন ও এমটিএনএল-কে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার তাঁর বা তাঁর কোনও আত্মীয়ের ফোন থেকে যাওয়া বা ফোনে আসা বার্তা আড়ি পেতে শোনার কোনও নির্দেশ দিয়ে থাকলে আদালতে তার নথি পেশ করতে বলা হোক তাদের। মুকুলের আইনজীবী জানান, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দলের নন, এমন বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই একই ধরনের অভিযোগ, আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প ও পাবলিক এন্টারপ্রাইজ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির মোবাইল ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।