নয়াদিল্লি: সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে রাজ্যজুড়ে বিজেপি দফতরে হামলার ঘটনার সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সূত্রের মতে, গোটা ঘটনার ওপর নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থার থেকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে।
গতকাল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়ার পর কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, ভূবনেশ্বর, নয়াদিল্লিতে তৃণমূলের সাংসদ, নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল হন। বিজেপির দফতরগুলির ওপর হামলা করার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে।
অনেক জায়গায় অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগও এসেছে। এই সব ঘটনার রিপোর্টই চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন, হামলার অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করেছে বিজেপি। দলের জাতীয় সম্পাদক শ্রীকান্ত শর্মা তৃণমূলের সঙ্গে পূর্বতন বাম জমানার তুলনা টেনে আনেন। বলেন, আগের সরকারের প্রতিবিম্ব হয়ে উঠেছে তৃণমূল। সবচেয়ে বড় হতাশা হল, এরা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। আর তদন্তকারী সংস্থা যখন আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেই সময়ে এরা নির্লজ্জভাবে হিংসা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নিচ্ছে।
বেআইনি আর্থিক সংস্থা নিয়ে এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন শ্রীকান্ত। বলেন, কেন্দ্রকে দোষারোপ করার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত নিজের দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু, তিনি তা করবেন না, কারণ গোটা সরকারটাই দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির ভিতে দাঁড়িয়ে। বিজেপি নেতার অভিযোগ, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের আড়াল করে মমতা মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।