চেন্নাই: সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর মুখ বন্ধ করতেই তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে সিবিআই হানা চালিয়েছে। এমনই অভিযোগ করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। এসব করে তাঁর মুখ বা লেখা বন্ধ করতে পারা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একই দাবি করেছেন কার্তিও। তিনি বলেছেন, ‘আমি কোনও অন্যায় করিনি। তল্লাশি চালিয়ে কোনও নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে না সিবিআই’। কার্তি আরও বলেছেন, সিবিআইয়ের তল্লাশি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া অন্য কিছু নয়। তাঁর বাবার মুখ বন্ধ করতেই এই তল্লাশি চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭-এ একটি মিডিয়া কোম্পানিকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে গতকালই  মামলা দায়ের করেছিল। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় ও পিটার মুখোপাধ্যায় পরিচালিত আইএনএক্স মিডিয়াকে অবৈধভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
সেই সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন চিদম্বরম। এই মামলাতেই এদিন চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তি চিদম্বরমের বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তল্লাশি হয়েছে কার্তির বন্ধুর বিরুদ্ধেও। এই মামলায় তাঁর ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন চিদম্বরম। তিনি বলেছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র মঞ্জুর বা খারিজ-সবই হয়েছিল এইআইপিবি-র সুপারিশ অনুযায়ী। এফআইপিবি-তে রয়েছেন কেন্দ্র সরকারের পাঁচ সচিব।
চিদম্বরমের দাবি, ছাড়পত্র মঞ্জুর নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তাঁর মুখবন্ধ করতেই সরকার সিবিআই ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে। সরকার অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা,সাংবাদিক, নিবন্ধকার, এনজিও এবং নাগরিক সংগঠনগুলির বিরুদ্ধেও এভাবেই সিবিআই ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে হাতিয়ার করছে বলে অভিযোগ করেছেন চিদম্বরম।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের প্রবল সমালোচক চিদম্বরম। অতীতেও তিনি বলেছিলেন, তাঁর বা তাঁর ছেলে কার্তির বিরুদ্ধে মামলা করে কেন্দ্র তাঁকে চুপ করিয়ে রাখতে পারবে না।
যদিও কেন্দ্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। মন্ত্রী পোন রাধাকৃষ্ণন বলেছেন, আইএনএক্স মি়ডিয়া সংক্রান্ত মামলাতেই সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে।
চিদম্বরমের পাশে দাঁড়িয়েছেন ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকার কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে। তিনি আরও বলেছেন, চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে আইনি পথেই এর মোকাবিলা করবেন।