শ্রীনগর: কেন্দ্রীয় সরকার এমন কোনও কিছু করবে না, যা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের ভাবাবেগের পরিপন্থী। ৩৫এ ধারা নিয়ে চলতি বিতর্কের মাঝেই এই কথা শোনালেন রাজনাথ সিংহ।


চারদিনের জম্মু ও কাশ্মীর সফর শেষ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শেষদিনে তিনি বলেন, কাশ্মীরে শান্তির গাছ মূর্ছিয়ে যায়নি। তাঁর মতে, কাশ্মীরের স্থায়ী সমাধান পাঁচটি সূত্রের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলি হল—সহানুভূতি, যোগাযোগ, সহাবস্থান, আস্থাবৃদ্ধি এবং দৃঢ়তা।


রাজনাথ মনে করিয়ে দেন, কাশ্মীর প্রশ্নে তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গেও বসতে রাজি। বলেন, কাশ্মীরের সমস্যা সমাধানের স্বার্থে সরকার সকলের সঙ্গেই আলোচনা করতে প্রস্তুত।


প্রসঙ্গত, ৩৫এ ধারার ফলে, বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা পায় জম্মু ও কাশ্মীর। যেমন, এই ধারার ফলে, রাজ্যের বাসিন্দা নয় এমন কোনও ব্যক্তি সেখানে স্থাবর সম্পত্তি করতে পারেন না।


জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৫এ ধারা প্রত্যাহার করার বিষয়ে কেন্দ্র ভাবনাচিন্তা করছে এমন জল্পনা ছড়িয়ে পড়ায় উপত্যকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।


সেই প্রসঙ্গে রাজনাথ জানিয়ে দেন, এই মর্মে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বা আদালতের দ্বারস্থও হয়নি। তিনি মনে করিয়ে দেন, এক্ষেত্রে কোনও সংশয় বা জল্পনা সৃষ্টি করার প্রয়োজন নেই। অহেতুক এই ইস্যুতে বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে।


রাজনাথ আশ্বাস দেন, কেন্দ্র যাই করুক না কেন, এমন কোনও কিছুই করবে না, যাতে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লাগে, বা তার পরিপন্থী। আমরা সেটাই মেনে চলব।


প্রসঙ্গত, ৩৫-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক মহিলা। তাঁর দাবি এই ধারা বৈষম্যমূলক। কারণ, ৩৫-এ ধারায় বলা হয়েছে, কোনও কাশ্মীরি মহিলা ভিন রাজ্যের পুরুষকে বিয়ে করেন, তাহলে তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্জিত হবেন।


এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রথম সারির রাজনৈতিক দল ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এই ধারা প্রত্যাহার করা হলে, তার ফল ভয়াবহ হবে।