রায়পুর: ‘সান ডে হো ইয়া মান ডে রোজ খাও আন্ডে’ – নব্বইয়ের দশকে এই টেলিভিশন কমার্শিয়ালের জিঙ্গলটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। বাচ্চাদের প্রতিদিনের ডায়েটে ডিমের গুরুত্বের কথা বলে থাকেন সব পুষ্টিবিদই। তা সত্ত্বেও,স্কুলের মিড ডে মিল থেকে বাদ ডিম! ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরের। নিরামিষাসী ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের আপত্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ মিড ডে মিলে ডিম পরিবেশন করতে পারবেন না। কিন্তু খেতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের পাতে যদি একান্তই ডিম পরিবেশনের ইচ্ছে থাকে, তাহলে তাদের বাড়িতে ডিম পৌঁছে দিয়ে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকার সরকারি স্কুলের মিড ডে মিলে বাচ্চাদের ডিম দেওয়ার প্রস্তাব আনে। কিন্তু নিরামিষাসী ছাত্র-ছাত্রীদের ‘অসুবিধে’র কথা ভেবে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিজেপি ও জনতা কংগ্রেস। বিধানসভায় বিষয়টি উত্থাপন করে, কবীর পন্থীদের ‘ভাবাবেগ’কে সম্মান দেওয়া উচিত বলে দাবি জানান তাঁরা।
মঙ্গলবার স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট জেলার কালেক্টরদের বিষয়টি নিয়ে দু সপ্তাহের মধ্যে স্কুল ডেভেলপমেন্ট কমিটি ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কতজন পড়ুয়া ডিম খেতে চায় না, সেটিও জানতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানায়, নিরামিষাসী পড়ুয়াদের জন্য আলাদা করে সয়াবিন ও দুধের মতো পুষ্টিকর বিকল্প খাবার রান্না করা হবে। তাদের আলাদা বসার ব্যবস্থাও করা হবে।
কিন্তু তাতেও যদি নিরামিষভোজী অভিভাবকরা সম্মত না হয়, তাহলে আমিষভোজী ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে ডিম পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।


কংগ্রেস বিধায়করা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। বিভিন্ন উপজাতি ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর পড়ুয়াদের পুষ্টির জন্য ডিম খাওয়ার উপযোগিতার কথা বলেন তাঁরা।