কাসগঞ্জ (উত্তরপ্রদেশ): উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জে গত সপ্তাহে গোষ্ঠী সংঘর্ষের বলি চন্দন গুপ্তার বাবা সুশীল গুপ্তা প্রাণহানির আশঙ্কা জানালেন। ২২ বছরের ছেলে চন্দনের বাবার দাবি, তিনি বাড়ির বাইরে একদিন বসেছিলেন, আচমকা বাইকে চড়ে কিছু লোক এসে তাঁকে হুমকি দেয় ভয় দেখায়। সুশীল বলেন, আমাদের প্রাণ বিপন্ন। নিরাপত্তার স্বার্থে আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখার লাইসেন্স চাইছি।
শেষ পর্যন্ত চন্দনের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষ পুলিশকর্তা।
গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে বেরনো তেরঙ্গা যাত্রার ওপর পাথর হামলাকে কেন্দ্র করে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশের দাবি, একদল লোক হাতে তেরঙ্গা পতাকা নিয়ে ভারত মাতা কী জয় ও বন্দেমাতরম স্লোগান দিতে দিতে বাইক মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। কিছু 'সমাজবিরোধী' সেই মিছিলে পাথর ছোঁড়ে, গুলিও চালায়। চন্দন নিহত হয়, জখম হয় দুজন। চন্দনের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকার চেক দিয়েছে প্রশাসন। চন্দনকে শহিদের মর্যাদা দেওয়ার দাবি করেছে তার পরিবার।
চন্দন খুনে প্রধান অভিযুক্ত সালিম গ্রেফতার হয়েছে বটে, তবে খুনে অভিযুক্ত তার দু ভাই পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
অতিরিক্ত ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) আনন্দ কুমার জানান, এফআইআর ও কয়েকজন সাক্ষীর বয়ান অনুসারে বাড়ির ছাদ বা ব্যালকনি থেকে সালিমই গুলি চালিয়েছিল, যাতে মারা যায় চন্দন।
প্রসঙ্গত, কাসগঞ্জের হিংসাকে উত্তরপ্রদেশের 'কলঙ্ক' বলেছেন রাজ্যপাল রাম নায়েক।