চণ্ডীগড়: চণ্ডীগড়ে আইএএস অফিসারের কন্যা বর্ণিকা কুণ্ডুকে পিছু ধাওয়া করার ঘটনায় দুই অভিযুক্তই রক্ত ও মূত্রের নমুনা দিতে অস্বীকার করেছেন। চণ্ডীগড় পুলিশের ডিজি তেজেন্দর সিংহ লুথরা জানিয়েছেন, তাঁদের চিকিত্সক রক্ত ও মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন। অভিযুক্তরা আইনের স্নাতক। তাঁরা আইন ভালোমতোই জানেন। তাই তাঁরা ওই নমুনা দিতে অস্বীকার করেছেন।


ডিজি একইসঙ্গে বলেছেন, এতে কিন্তু অভিযুক্তরাই তদন্ত ও বিচারের সময় বেকায়দায় পড়তে পারেন।

লুথরা আরও বলেছেন, তদন্তে খুব বেশি দেরী হবে না। সুবিচার দিতে খোলাখুলিভাবেই সবকিছু করা হবে।

ডিজি আরও বলেছেন, ছটি জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে যে, অভিযুক্তরা ওই তরুণীর গাড়ির পিছু ধাওয়া করছে। তদন্তের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে।

ডিজি বলেছেন, পুলিশের তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেজন্যই দুই অভিযুক্ত বিকাশ বারালা ও অশিষ কুমারকে এদিন তলব করেছিল পুলিশ।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বর্ণিকার গাড়ির পিছু ধাওয়া করেছিল হরিয়ানার বিজেপি সভাপতি সুভাষ বারালার ছেলে বিকাশ ও তার সঙ্গী। বর্ণিকা গাড়ি চালাতে চালাতেই পুলিশে ফোন করেন। পুলিশ এসে তাঁর পাশে দাঁড়ায়। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে লঘু ধারা আরোপ করায় তাঁরা থানা থেকেই জামিন পেয়ে যান।

অথছ বর্ণিকা তাঁর ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট বলেছেন, তাঁকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করে ফেলা হতে পারত বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

বিকাশদের বিরুদ্ধে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের না করায় সমালোচনার মুখে পড়ে। রাজনৈতিক প্রভাবে কারণেই তাঁদের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, বলে অভিযোগ ওঠে।

৫ আগস্টের এই ঘটনা নিয়ে গতকাল মুখ খোলেন সুভাষ বারালা।ছেলের বিরুদ্ধে মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। বারালা বলেন, বর্ণিকা তাঁর মেয়ের মতো। তাঁকে ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য তিনি সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।