নয়াদিল্লি: দিল্লির একটি আদালতে শুনানি চলাকালে কাশ্মীরী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাবির শাহকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন সরকারি আইনজীবী।  দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে সাবির শাহকে একথা বলতে  বলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র আইনজীবী। সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি আইনজীবীকে ধমক দিলেন বিচারক সিদ্ধার্থ শর্মা। বললেন, এটা ‘টেলিভিশন স্টুডিও’ নয়।
এ ক দশকেরও বেশি পুরানো আর্থিক তছরুপ মামলায় গত মাসে সাবির শাহকে গ্রেফতার করেছে ইডি।এর আগে পুলিশ এক হাওলা কারবারিকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে ৬৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। জেরায় ওই হাওলা কারবারি জানায়, তার কাছে যে টাকা ছিল তা সাবির শাহকে দেওয়ার কথা ছিল। তার বক্তব্যের ভিত্তিতে সাবির শাহকে গ্রেফতার করে ইডি।
আদালতে শুনানির সময় ইডি-র আইনজীবী বলেন, ৬৪ বছরের সাবির শাহর মতো বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কাশ্মীরে বিক্ষোভ ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উস্কানি দিতে বিদেশি অর্থ ব্যবহার করছেন। সাবির শাহর হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আইনজীবী বলেন, এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন বলে অভিযোগ। এত অর্থ তিনি কোথা তিনি পেলেন তা জানতে চায় ইডি।
গত ২৫ জুলাই সাবির শাহকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করছেন সাবির শাহ।
সাবির শাহর আইনজীবী অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, সাবির শাহকে ফাঁসানো হয়েছে।
এর পাল্টা জবাব দিতে উঠে সরকারি আইনজীবী বলেন, সাবির শাহ সন্ত্রাসবাদে মদত দিতে অর্থের ব্যবহার করে দেশকে ধ্বংস করছেন। এরপরই সাবির শাহকে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে ‘ভারত মাতা কি জয়’ উচ্চারণ করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।
সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ভাষায় তাঁকে সতর্ক করে দেন বিচারক। তিনি বলেন, মামলার বিষয়বস্তু অনুসারে সঠিক পথে সওয়াল করুন। এটা টেলিভিশন স্টুডিও নয়।
শুনানিতে আদালত ইডি-র আর্জি মঞ্জুর করেছ এবং সাবির শাহর আরও ছয় দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।