চেন্নাই: মাদক খাইয়ে কাকা ধর্ষণ করেছিল এক কিশোরীকে। সেই ঘটনার ভিডিও তুলে তা ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল অভিযুক্ত। বাড়ির লোকজনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। দিনের পর দিন চলতে থাকে ব্ল্যাকমেল। এই মানসিক যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করল ১৫ বছরের ওই দশম শ্রেণীর ছাত্রী। সুইসাইড নোটে তার ওপর অত্যাচারের বিস্তারিত লিখে রেখে গিয়েছে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওই কিশোরীকে মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে ধর্ষণ করেছিল তার কাকা। এ কথা কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল ওই কিশোরীকে। ভয়ে ঘটনার কথা প্রথমে কাউকে জানাতে পারেনি কিশোরা। মাস কয়েক আগে আর থাকতে না পেরে বাড়ির লোকজনদের ঘটনার কথা জানায় সে। বাড়ির লোকজন অভিযুক্তকে বকাঝকা করেই রেহাই দেয়। একইসঙ্গে কিশোরীকে ঘটনার কথা বাইরে না জানাতেও বলেন তাঁরা।
বকাঝকাতে  রেহাই পেয়ে যাওয়ায় অভিযুক্তর সাহস আরও বেড়ে যায়। কিশোরীর নিগ্রহ চালিয়েই যেতে থাকে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, এরইমধ্যে একদিন স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে আসার পর গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই কিশোরী। ওই সময় বাড়িতে কেউ ছিল না।
পরে কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত ফেরার। তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।