চেন্নাই: বন্ধ স্কুল। করোনা পরিস্থিতিতে পড়াশোনার মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন ক্লাস। ফলে ছো্ট্ট স্কুল পড়ুয়াদের কাছেও এখন জরুরী হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। বিনোদন নয়, স্মার্টফোন এখন পড়াশোনারই অঙ্গ। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের কাছে কি করে থাকবে মোবাইল? পড়াশোনা করার ইচ্ছায় তাই মোবাইল চুরি করতে গিয়েছিল এক ছাত্র! ধরা পড়ার পর অভিনব শাস্তি দিলেন পুলিশ অফিসার।

১৩ বছরের ওই কিশোর চেন্নাইয়ের কর্পোরেশন স্কুলের ছাত্র। বাবা বিস্কুটের দোকানে কাজ করেন এবং মা  পরিচারিকার কাজ সামলান। অনলাইন ক্লাসের জন্য বাবা-মায়ের আয়ে ফোন কেনার সামর্থ হয়নি কিশোরের। কিছুটা অর্থের তাগিদেই তাই পাড়ার দুই দুষ্কৃতীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল ওই ছেলেটি। বিভিন্ন ভিড় এলাকায় পকেটমারি, মোবাইল চুরির মতো কাজ করতে শুরু করেছিল সে। উদ্দেশ্য একটাই, মোবাইল কিনে অনলাইনে ক্লাস শুরু করবে।

এরপরই শুরু হয় ট্রেনিং। পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়ি ঢুকে ছিনতাই, চুরি করতে শুরু করেছিল কিশোর। তবে এভাবে বেশিদিন চলল না। সম্প্রতি মোবাইল চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই কিশোর। এক পুলিশকর্মীর থেকে মোবাইল ছিনতাই করতে গিয়ে বাসের মধ্যেই পাকড়াও করা হয় তাকে।

আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পরই আসল কথা জানতে পারেন ওই পুলিশকর্মী। ছেলেটিকে কোনওরকম শাস্তি দেননি ওই পুলিশকর্মী। বরং একটি মোবাইল ফোন কিনে উপহার দিয়েছেন। সেই মোবাইলের অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে ওই ছাত্র। এখন বন্ধ সমস্ত অসামাজিক কাজ।