রায়পুর: ফের বড়সড় মাওবাদী হামলার সাক্ষী রইল ছত্তীসগঢ়ের সুকমা। আধা সামরিক বাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ। আইইডি বিস্ফোরণ ও গুলিতে প্রাণ হারালেন ১২ সিআরপিএফ জওয়ান। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে আরও ২।
ছত্তীসগঢ় পুলিশ সূত্রে খবর, ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সোয়া নটা। সুকমা জেলার ভেজ্জি থেকে কোট্টাচেরু গ্রামের দিকে যাচ্ছিল সিআরপিএফ-এর ২১৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের রোড ওপেনিং পার্টি। দলে ছিলেন ১১২ জওয়ান।
আচমকাই জঙ্গলের পথে আইইডি বিস্ফোরণ। জওয়ানরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতেই জঙ্গলের মধ্যে থেকে ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। অতর্কিত আক্রমণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন সিআরপিএফ জওয়ান।
লুঠ হয় নিহত জওয়ানদের ৬টি ইনস্যাস, ৪টি একে-৪৭ রাইফেল, একটি এলএমজি, প্রায় দেড় হাজার গুলি, একটি আন্ডার ব্যারেল রকেট লঞ্চার (ইউবিজিএল), একটি ৫১ এমএম মর্টার, ২টি প্যারা বম্ব ও ২ টি রেডিও সেট।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন,সুকমায় সিআরপিএফ জওয়ানদের হত্যার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। শহিদ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। আশা করি, জখম জওয়ানরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
ট্যুইটার হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিআরপিএফ জওয়ানদের মৃত্যুর খবরে গভীরভাবে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীও। বলেন, এলাকায় উন্নয়নের জন্য রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। হামলা চালিয়ে উন্নয়নের কাজ বন্ধ করতে চাইছে মাওবাদীরা।
এই প্রথম নয়, বারবার জওয়ানের রক্তে রক্তাক্ত হয়েছে সুকমা। গত বছর মার্চ মাসে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় কয়েকজন জওয়ানের। ২০১০ -এ মাওবাদী হামলায় সুকমায় মৃত্যু হয় ৭৬ জন সিআরপিএফ জওয়ানের৷
সম্প্রতি, সুকমাতেই পুলিশের চর সন্দেহে এক পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলি করে খুন করে মাওবাদীরা। শনিবারের হামলায় মৃত্যু হল কয়েকজন জওয়ানের।