নয়াদিল্লি:  ভারতে প্রত্যর্পণের পর ছোটা রাজন যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, সেই আশঙ্কাই শেষমেষ সত্যি হল! ফের দাউদ ইব্রাহিমের প্রাক্তন এই সহযোগীকে নিকেশ করার ছক কষল ছোটা শাকিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিল দিল্লি পুলিশ! ধরা পড়ল ৪ ভাড়াটে খুনি!
তদন্তকারীদের দাবি, এক সময়ের বন্ধু তথা আজকের দুশমন ছোটা রাজনকে হত্যার জন্য ধৃতদের সুপারি দিয়েছিল ছোটা শাকিল! গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে এই ৪ জনের সঙ্গে ইন্টারনেট ফোনে কথা বলত দাউদের বর্তমান ছায়াসঙ্গী।
সূত্রের খবর, সেই ফোনে পুলিশ আড়ি পাততেই শাকিলের ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস হয়ে যায়! দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে জাল পাততেই গত তেসরা জুন ধরা পড়ে, রবিনসন, জুনেইদ, ইউনুস ও মণীশ নামে চার শ্যুটার। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি নাইন এম এম পিস্তল, দু’ডজনেরও বেশি কার্তুজ, ৪০ হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোন।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে দাবি, প্রথমে ছোটা রাজনের বিশ্বস্ত গাড়ি চালককে খুন করার পরিকল্পনা করে ছোটা শাকিল। এরপরের টার্গেট ছিল রাজন! ঠিক হয়, জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ই চিরতরে সরিয়ে দেওয়া হবে ছোটা রাজনকে!
এর আগেও, একদা দাউদের ছায়াসঙ্গী ছোটা রাজনকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে ডি কোম্পানির অন্যতম নিয়ন্ত্রক।
এবারের ঘটনার পর হেফাজতে রেখে ধৃত চার জনকে পাঁচদিন লাগাতার জেরা করেছে দিল্লি পুলিশ। জেল হেফাজত হওয়ায় এখন ধৃতদের ঠিকানা তিহাড় জেল। ঘটনাচক্রে যেখানে রাখা হয়েছে ছোটা রাজনকেও! তার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, জেল কর্তৃপক্ষকে ধৃত ৪ জনের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখতে বলেছে দিল্লি পুলিশ।
২৭ বছর গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গ্রেফতার হয়েছিল ছোটা রাজন। প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকায় গত বছরের নভেম্বরে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়।