নয়াদিল্লি: দিল্লির মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশের নিগ্রহের অভিযোগের তদন্তের ব্যাপারে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বাসভবনে গেল দিল্লি পুলিশের টিম। নর্থ দিল্লির অতিরিক্ত ডিসিপি হরিন্দর সিংহ বলেন, দিল্লির মুখ্যসচিবের নিগ্রহের ব্যাপারে সিসিটিভি ফুটেজ সহ যাবতীয় নথি, প্রমাণ সংগ্রহ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে একটি পুলিশ টিম পাঠানো হয়েছে। ২১টি সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে তারা। এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেজরীবাল, ট্যুইট করেছেন, বিরাট পুলিশবাহিনী পাঠানো হয়েছে আমার বাসভবনে। দুটো চড়ের অভিযোগে তল্লাসি চলছে মুখ্যমন্ত্রীর পুরো বাসভবনে। কিন্তু বিচারক লোয়ার মৃত্যু নিয়ে কবে জেরা করা হবে অমিত শাহকে। এ ব্যাপারে তাঁর মন্ত্রি পরিষদ লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বইজলের সঙ্গে দেখা করতে সময় চেয়েছে বলে জানান তিনি। এক সরকারি অফিসার বলেন, মুখ্যসচিবের নিগ্রহের অভিযোগের তদন্ত চলতে থাকলেও যেহেতু দিল্লিতে সরকারি পরিষেবাগুলি লেফটেন্যান্ট জেনারেলের এক্তিয়ারে পড়ে, মন্ত্রী পরিষদ তাঁকে আবেদন করবে যাতে তিনি আপ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে সব আমলাকে নির্দেশ দেন। দিল্লি সরকারের মুখপাত্র অরুণোদয় প্রকাশ জানান, 'আগাম কিছু না জানিয়েই' ৬০-৭০ জন পুলিশকর্মী মুখ্যমন্ত্রী বাসভবনে ঢুকে পড়ে। পুলিশ রাজের হাতে দিল্লিতে গণতন্ত্র খুন। পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সর্বত্র ঢুকে পড়েছে। একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এমন করতে পারলে ভাবুন, গরিবের সঙ্গে ওরা কী করে! গণতন্ত্রে ন্যূনতম সৌজন্য থাকে। প্রতিটি নাগরিকেরই সাংবিধানিক অধিকার আছে। গরিব মানুষ, সমাজের একেবারে সবার পিছনে পড়ে থাকা লোকটির জন্য খেটে চলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী, এটা কি তাঁকে হেনস্থার চেষ্টা নয়? গত সোমবার রাতে কেজরীবালের বাসভবনে বৈঠক চলাকালে তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যসচিব। তার ভিত্তিতে দুই আপ বিধায়ক প্রকাশ জারওয়াল ও আমানুল্লাহ খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।