বারাণসী: ২০০৪ সালে সাত বছরের মেয়েকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দশ বছর জেল খেটে বেরিয়েছে সম্প্রতি, কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও নৃশংস ভাবে খুন করেছে, এমনই অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পাপ্পু নামে ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুুলিশ। গত ২৬ নভেম্বর কিশোরীটির ওপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে সেদিনই তাকে খুন করে দেহটি জৌনপুরের কেরাকাত এলাকার জঙ্গলে ফেলে দেয় পাপ্পু, জানান এসএসপি নিতিন তেওয়ারি।


তিনি জানান, আগেরবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হয়েছিল ধর্ষিতা শিশুকন্যা। পাপ্পুকে কারাবাসের সাজা দিয়েছিল আদালত। কিন্তু এবার যাতে তেমন না হয়, ধর্ষিতার আদালতে সাক্ষী হিসাবে হাজিরার দেওয়ার সম্ভাবনাই না থাকে, সেজন্য তাকে মেরেই ফেলে সে।


এসএসপি জানান, স্কুটিতে লং ড্রাইভে যাওয়ার নাম করে পাপ্পু মেয়েটিকে কেরাকাত এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে গলা কেটে তাকে হত্যা করে। মেয়েটির মায়ের সন্দেহ হয়। পাপ্পু তাঁর মেয়েতে কিডন্যাপ করেছে বলে জানিয়ে এফআইআর করেন তিনি। তিনদিন আগে মেয়েটির দেহ উদ্ধার করে  পুলিশ। স্থানীয় পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চের সহযোগিতার পাপ্পুকে তার জইতপুরা এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।