নয়াদিল্লি: আচমকা চিনের ‘অনীহায়’ থমকে গেল দক্ষিণ ভারতের একটি বুলেট ট্রেন প্রকল্প। আধিকারিকদের দাবি, ডোকালাম-ইস্যুর জন্যই এই গড়মসি চিনের।
দেশের ৯টি উচ্চ-গতির রেল প্রকল্প সংক্রান্ত রেল মন্ত্রকের পেশ করা একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে যে— ৪৯২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চেন্নাই-বেঙ্গালুরু-মহীশূর করিডরের কাজ এখন প্রায় অথৈ জলে পড়ে রয়েছে।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় এক বছর আগে এই রুটে সমীক্ষা চালিয়েছিল চিনা রেল। কিন্তু, তারপর থেকে চিনের তরফে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ। রিপোর্টের দাবি, বহুবার চিনা রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, উল্টোদিক থেকে কোনও উত্তর আসেনি।
রেল বোর্ডের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দাবি, গত ১৬ জুন থেকে ২৮ অগাস্ট—ডোকালামে ভারতের সঙ্গে যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল চিনের, তার ফলেই সম্ভবত এই প্রকল্পের কাজ নিয়ে আচমকা তাদের মধ্যে অনীহা তৈরি হয়েছে।
ওই আধিকারিক জানান, ২০১৪ সালে এই রুটের সমীক্ষা শুরু হয়। তার রিপোর্ট জমা পড়ে ২০১৬-তে। সমীক্ষার পুরো খরচও বহন করে চিনা রেল। এমনকী, তারা এই প্রকল্প ছাড়াও অন্য প্রকল্পগুলি নিয়ে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল।
কিন্তু, গত ৬ মাস ধরে, তাদের সঙ্গে ক্রমাগত ই-মেল মারফৎ যোগাযোগ করা হলেও কোনও উত্তর আসেনি। এমনকী, দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও কোনও ফল হয়নি।
প্রসঙ্গত, মুম্বই-আমদাবাদ বুলেট প্রকল্প নিয়েও আশাপ্রকাশ করেছিল চিন। কিন্তু, সেই বরাত চলে যায় জাপানের কাছে। এছাড়া, মুম্বই-দিল্লি সেক্টরেও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে চিন। ভারতের রেল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বেজিং। চিনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দেশের প্রথম রেল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে ভারতে।