আজ চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে লেখা হয়েছে, ‘হিংসা থামানো ভারতের ব্যক্তিগত বিষয়। চিনের আশা, ভারত সরকার দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পারবে। কিন্তু বেজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে ডোকলাম ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। আমাদের আশঙ্কা, ঘরোয়া অশান্তি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারত সীমান্ত সমস্যাকে ব্যবহার করতে পারে।’
চিনের সংবাদমাধ্যম বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে সরব। ডোকলাম নিয়ে দু দেশের বিরোধ শুরু হওয়ার পর ভারতের বিরুদ্ধে চিনা সংবাদমাধ্যমের বিষোদগার বেড়েছে। গুরমিত রাম রহিম সিংহ ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ডেরা অনুগামীদের তাণ্ডবের ঘটনা নিয়ে চিনা সংবাদমাধ্যম লিখেছে, ভারতে একাধিক সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সমস্যা আছে। আমাদের আশা, ভারত দ্রুত চিনের অংশ থেকে সেনা সরিয়ে নিয়ে ঘরোয়া সমস্যা মেটানোয় মন দেবে। ঘরোয়া গোলমাল থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য সীমান্ত সমস্যাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করলে ভারতের কোনও লাভ হবে না।
চিনা সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারতীয়দের কুসংস্কার এবং পুরনো ধ্যান-ধারণার ফলে দেশ আধুনিক হতে পারছে না। আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সংঘাত দেখা যাচ্ছে। ভারতীয়রা সবসময় গুরুকে পুজো করেন। ভারতে ধর্মগুরুরা ধনী শিল্পপতি। গুরুদের প্রতি ভারতীয়দের ভক্তি দেখে বোঝা যায়, রাজনীতির প্রতি তাঁরা বিতশ্রদ্ধ।