নয়াদিল্লি: চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) অন্তত ১০,০০০ সেনা লাদাখের পাহাড়চুড়ো থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে। প্রচণ্ড শীতে এই সিদ্ধান্ত নিতে তারা বাধ্য হয়েছে বলে খবর। যদিও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে এখনও সরেনি চিনা সেনা।

জানা গিয়েছে, লাদাখের অসম্ভব ঠান্ডায় চিনা সেনারা অভ্যস্ত নয়, তাই এত সেনাকে একবারে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। ওই এলাকায় সব মিলিয়ে ১ লাখ ভারতীয় ও চিনা সেনা মোতায়েন রয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা তো বটেই, লাদাখের গভীরেও মোতায়েন সেনা এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। প্রাক্তন নর্দার্ন আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুডা জানিয়েছেন, শীতকালে, বড় আকার তো দূরের কথা, স্বল্পকালীন সেনা অপারেশনও সম্ভব নয়। সম্ভবত সে কারণেই লাদাখের অভ্যন্তর থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে PLA।

গত সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে এই ১০,০০০ সেনাকে সরিয়ে নিয়েছে চিন। ভারতীয় সেনা লাদাখের পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে, তারা মনে করছে, এই এলাকায় ফের চিন সেনা মোতায়েন করতে পারে।

লাদাখ অচলাবস্থা এ নিয়ে নয় মাসে পড়ল। প্রচণ্ড শীত, তুষারপাত উপেক্ষা করে পরস্পরের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে ভারতীয় ও চিনা সেনা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এতদিনে তাদের ৮ রাউন্ড আলোচনা চলেছে কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। কর্পস ও কমান্ডার স্তরের নবম রাউন্ড বৈঠক কবে হবে তার এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াত সোমবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ২ দিনের সফরে লাদাখ গিয়েছেন। কাশ্মীরের সংবেদনশীল এলাকাগুলির নিরাপত্তা সরেজমিনে দেখবেন তিনি। ভারতীয় বায়ু সেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাস আরকেএস ভাদুড়িয়াও গতকাল ঘুরে এসেছেন পূর্ব লাদাখ।

জানুয়ারির ২ ও ৩ তারিখে জেনারেল রাওয়াত অরুণাচল প্রদেশে গিয়ে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা সেনাকর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন। লাদাখে এই মুহূর্তে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব চললেও অন্যান্য যে সব জায়গায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে. সে সব জায়গাতেও চূড়ান্ত সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনা। তারা মনে করছে, চিনা সেনা আবার স্থিতাবস্থা লঙ্ঘনের চেষ্টা করতে পারে।