নয়াদিল্লি:  ভুটানের ডোকালামে সেনা মোতায়েন নিয়ে ভারত-চিন সম্পর্ক এইমুহূর্তে অস্থির। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কূটনৈতিক স্তরে ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে এক বৈঠকে মুখ খুললেন বিদেশসচিব এস.জয়শঙ্কর। সেই আলোচনা সভাতেই বিদেশসচিব মন্তব্য করেন, সিকিম নিয়ে চিনের মনোভাব এইমুহূর্তে অস্বাভাবিক বেশি আগ্রাসী। জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে কূটনৈতিক স্তরে বেজিংয়ের সঙ্গে সমানে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দিল্লি। তিনি একথাও বলেছেন একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই শান্তির পথ বের করা সম্ভব দুদেশের।


সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেই বেজিং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ডেকে ডোকালাম পরিস্থিতি এবং সেই নিয়ে নিজেদের মনোভাব জানিয়ে দেয়। সেই একই পথে হেঁটে গতকাল বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সামনে ডোকালাম এবং চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের মনোভাব পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপান এবং জার্মানির কূটনীতিকরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীও।

এদিকে গতকাল ফের চিনের বিদেশমন্ত্রক ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তারা যেন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণ করার জন্যে ডোকালামে অনধিকার প্রবেশ না করে। বেজিং আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যত সংঘাত এড়াতে অবিলম্বে যেন দিল্লি ডোকালাম থেকে সেনা সরিয়ে নেয়।

পিটিআই সূত্রে খবর, বৈঠক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক সাংসদ জয়শঙ্করের বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, সিকিম নিয়ে চিনের মনোভাব প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আগ্রাসী হলেও, সেটা মোটেই জটিল নয়। বৈঠকে একবারও যুদ্ধ-পরিস্থিতি বা সংঘাত, এধরনের কোনও শব্দ চয়ন করেননি জয়শঙ্কর, জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে উপস্থিত আর এক সদস্য।

প্রসঙ্গত, প্রায় এক মাস ধরে ভুটানের ডোকালাম এলাকায় চিনের রাস্তা নির্মাণ পরিকল্পনায় বাধা দিয়ে সেখানে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে ভারত। ওই ঘটনা থেকে দুদেশের সংঘাতের শুরু। চিনের দাবি, ওই এলাকাটি তাদের। ভারত যেন অবিলম্বে সেনা সরিয়ে নেয়। দিল্লিও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। এরপরই সেখানকার অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মহল। সেইজন্যে গতকাল বৈঠক ডেকে সীমান্ত পরিস্থিতি সংক্ষেপে জানালেন বিদেশসচিব।