নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফরের জন্য মোট কত টাকা খরচ হয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়ে নির্ভুল তথ্য না দেওয়ায় বিমানবাহিনীর দুই অফিসারের উপর ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। অবসরপ্রাপ্ত কমোডোর লোকেশ বাত্রার অভিযোগের শুনানির সময় তথ্য কমিশনার দিব্যপ্রকাশ সিনহা বলেছেন, ‘তথ্যের অধিকার আইনে যে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছিল, বিমানবাহিনীর সদর দফতর থেকে ওয়েস্টার্ন এয়ার কম্যান্ডে রেজিস্টার্ড পোস্টের মাধ্যমে সেই জবাব পাঠাতে দু’মাস দেরি হয়েছে। এর কোনও কারণ নেই। কমিশনের পর্যবেক্ষণ, বিমানবাহিনীর সদর দফতর ও ওয়েস্টার্ন কম্যান্ডের অফিসাররা প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচের হিসেব দেওয়ার ক্ষেত্রে বুদ্ধি প্রয়োগ করেননি। শুধু জবাব দিতে দেরিই হয়নি, নির্ভুল তথ্যও দেওয়া হয়নি। হয়তো সংশ্লিষ্ট অফিসাররা প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে হওয়া বিভিন্ন খরচের বিষয়ে কম জানেন বা জানেন না। তবে জবাব দিতে দেরি করার পিছনে তাঁদের কোনও অসৎ উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই ওয়েস্টার্ন কম্যান্ডের উইং কমান্ডার সুমন অধিকারী ও স্কোয়াড্রন লিডার এস এস এলামুরুগুর জরিমানা করা হচ্ছে না।’

২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর তথ্যের অধিকার আইনে বিমানবাহিনীর সদর দফতরের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে ব্যবহৃত বিমান ও এর জন্য খরচের বিষয়টি জানতে চান বাত্রা। তিনি আরও জানতে চান, সরকারি কর্তৃপক্ষ কতটা খরচ বহন করেছে। বিমানবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের তারিখ, সময়, সংশ্লিষ্ট দেশগুলির কথা উল্লেখ করলেও, সরকারি কর্তৃপক্ষ কত খরচ দিয়েছে, সেটা জানায়নি। সাত মাস পরেও জবাব না পাওয়ায় তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেন বাত্রা।