আমদাবাদ: দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টিভি মিডিয়ার লোকজন ডেকে এনে আচারমাখানো নোট খেতে বাধ্য করা হল আমদাবাদ পুরসভার এক শীর্ষকর্তাকে। সেই দৃশ্য সম্প্রচার করা হয় স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলিতেও।
ধর্মিন ব্যাস নামে আমদাবাদ পুরসভার নিউ ওয়েস্ট জোনের প্রফেশনাল ট্যাক্স বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বস্ত্রপুর পুলিশ 'লোক রক্ষক সেবা সমিতি' নামে একটি এনজিও-র ৩০ জন সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। কর্তব্যরত সরকারি কর্মীর হেনস্তা, হাঙ্গামা করার দায়ে গ্রেফতার হন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি প্রুথ্বী ভট্ট।
পুলিশ ইনসপেক্টর বি জে সারভাইয়া বলেছেন, ব্যাসের অভিযোগ, ভট্ট দলবল নিয়ে তাঁদের অফিসে চড়াও হয়ে তাঁকে আচার মাখানো টাকা খেতে বাধ্য করেন। বাধা দিলে জোর করে তাঁর মুখ খুলে নোট ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। অকারণে তাঁকে নিশানা করা হয়েছে বলে দাবি করেন ব্যাস। বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী, সেটা ওরা কেউ বলেনি।
তবে গ্রেফতার হওয়ার আগে ভট্ট দাবি করেন, তিনি কোনও অন্যায়ই করেননি। 'সরকারি কর্তাদের শিক্ষা দিতে' ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। আরও বলেন, কয়েকদিন আগে আমরা আমদাবাদ পুরসভার এক কর্তাকে নালার জল গিলতে বাধ্য করি, যাতে তিনি এটা অনুভব করতে পারেন, তাঁর কর্তব্যে গাফিলতি, দুর্নীতির জন্য গ্রাহকদের কতটা কষ্ট হয়েছে। ব্যাসকে 'দুর্নীতিবাজ' তকমা দেন তিনি।