নয়াদিল্লি: গত কয়েকদিন ধরে চলা বিবাদের মধ্যেই ফের সুপ্রিম কোর্টের ‘বিদ্রোহী’ চার বিচারপতির সঙ্গে নতুন বিতর্কের ইঙ্গিত প্রধান বিচারপতির।


খবরে প্রকাশ, সোমবার পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। এই সাংবিধানিক বেঞ্চ আগামী ১৭ তারিখ থেকে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি শুনবে।


উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সাংবিধানিক বেঞ্চে রাখা হয়নি চার ‘বিদ্রোহী’ বিচারপতিকে। অর্থাৎ, সদ্য গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ থেকে বাদ পড়েছেন-- বিচারপতি জে চেলামেশ্বর, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি মদন লোকুর এবং বিচারপতি ক্যুরিয়ন জোশেফ।


এদিন প্রধান বিচারপতি যে সাংবিধানিক বেঞ্চের ঘোষণা করেছেন, তাতে রয়েছেন—বিচারপতি এ কে সিকরি, বিচারপতি এ এম খানউইলকর, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি অশোক ভূষণ। বেঞ্চের নেতৃত্বে প্রধান বিচারপতি নিজে।


জানা গিয়েছে, নতুন সাংবিধানিক বেঞ্চ আধার কার্ডের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ এবং সমকামিতাকে পুনরায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করার দাবিতে যে মামলা দায়ের হয়েছে, তা শোনা। এর পাশাপাশি, কেরলের সবরিমালায় ১০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত মামলাও শুনবে এই বেঞ্চ।


তবে, এই খবরে, সবচেয়ে আলোড়ন হল চার ‘বিদ্রোহী’ বিচারপতির বাদ পড়া। কারণ, এই ইস্যু নিয়েই গত শুক্রবার বেনজিরভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে কার্যত ‘বৈষম্যের’ অভিযোগ তোলেন চারজন।


তাঁরা অভিযোগ করেন, গুরুত্বপূর্ণ মামলা কোনও যৌক্তিকতা ছাড়াই পছন্দের বেঞ্চকে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। গুরুত্ব দেননি অন্যান্য সিনিয়র বিচারপতিদের মতামতকে।


সেই বিতর্কের আগুন নেভার আগেই সাংবিধানিক বেঞ্চে থেকে চারজনকে বাদ দিয়ে ফের নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করলেন প্রধান বিচারপতি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।