নয়াদিল্লি: উমর খালিদ, শেহলা রশিদকে সেমিনারে বক্তা হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েও বাতিল করার ঘটনায় বুধবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ রামজাস কলেজে সংঘর্ষে জড়াল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি ও বাম ছাত্রগোষ্ঠী আইসা-র সদস্যরা। বহু ছাত্রছাত্রী ও তিনজন শিক্ষক জখম হয়েছেন বলে দাবি একটি সূত্রের। ৪০ জন পড়ুয়াকে আটক করা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকালই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পড়ুয়া উমর ও শেহলাকে 'দেশ-বিরোধী'আখ্যা দিয়ে রামজাস কলেজের সেমিনারে বক্তা হিসাবে ডাকার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। অভিযোগ, তারা সেমিনার কক্ষের জানালায় পাথর ছোঁড়ে, দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত তাদের চাপেই কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, উমর ও শেহলাকে পাঠানো আমন্ত্রণ বাতিল করা হয়েছে, তবে সেমিনার হবে।


প্রসঙ্গত, গত বছর জেএনইউ-তে বিতর্কিত অনুষ্ঠানে ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে উমরও দেশদ্রোহিতা মামলায় জড়িয়ে পড়েন।

তাঁকে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন নেত্রী শেহলাকে আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের প্রতিবাদে রামজাস কলেজের শিক্ষক, পড়ুয়াদের একাংশ ও আইসা সদস্যরা আজ মরিস নগর থানা পর্যন্ত মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। কলেজ প্রশাসন খোলাখুলি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার প্রয়াসের কাছে মাথা নত করল বলে অভিযোগ তুলে তাদের দাবি, গতকালের 'গুন্ডামিতে' জড়িত এবিভিপি কর্মীদের শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু এবিভিপি তাদের মিছিল করতে দেয়নি, ছাত্র, শিক্ষকদের তালাবন্ধ করে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। তাদের ছাড়াতে বাইরে থেকে কলেজে ঢোকার চেষ্টা করে আইসা-র লোকজন। তাদের দাবি, যেসব পড়ুয়া-শিক্ষক বাইরে বেরতে চাইছে, তাদের মারধর করছে এবিভিপি কর্মীরা।
এদিকে কলেজের অধ্যক্ষ রাজেন্দর প্রসাদ জানিয়েছেন, তিনি সেমিনারের আয়োজক শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। উভয় পক্ষকেই শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। গতকাল তিনি বলেছিলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ মতপ্রকাশের অধিকারের পক্ষে, তবে বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখেই উমর, শেহলাকে আমন্ত্রণ বাতিল করা হল।