প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মেয়েটির বাড়ি গুলহারিয়ার মহারাজগঞ্জে। তার প্রেমিকের নাম রাধেশ্যাম জয়সওয়াল। সে চিল্লুপার অঞ্চলের বাসিন্দা। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ মেয়েটির বাড়িতে যায় রাধেশ্যাম। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে দেখতে পেয়ে মারধর শুরু করেন। মেয়েটি তাকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানালেও কেউ কান দেননি। এরপর মেয়েটি আত্মহত্যার হুমকি দেয়। তখন স্থানীয় মানুষজন পঞ্চায়েত সদস্যদের খবর দেন। গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনার পর তাদের বিয়ে দেওয়ার নিদান দেওয়া হয়।
মেয়েটির এক আত্মীয়া জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ধরনের সম্পর্কের ফলে গ্রামের বদনাম হচ্ছে। সেই কারণেই তাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেয়েটি নাবালিকা হওয়ায় তিনি বিয়েতে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়েটির ঠাকুর্দা দাবি করেন, তার বয়স ১৮ বছর হয়ে গিয়েছে। এরপরেই দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়।
গুলহারিয়া থানার ইন্সপেক্টর বিডি সিংহর দাবি, তাঁরা সংবাদমাধ্যম থেকে এই ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন। মেয়েটির বয়স ১৮ বছরের বেশি বলেই মনে হচ্ছে। তবে তাঁরা শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছেন। সেই রিপোর্টে যদি দেখা যায় মেয়েটি নাবালিকা, তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।