নয়াদিল্লি: শ্লীলতাহানির ঘটনায় অবসাদে দিল্লি সংলগ্ন নয়ডায় নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ। দিল্লির ময়ুরবিহার ফেজ ৩ আহলকোন পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করত ১৫ বছরের ওই কিশোরী। পরিবারের পক্ষ থেকে স্কুলের দুই শিক্ষক ও প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের কাছে দায়ের করা হয়েছে। আত্মঘাতী ছাত্রীর বাবা-মায়ের অভিযোগ, রাজীব সহগল ও নীরজ আনন্দ নামে স্কুলের দুই শিক্ষক তাঁদের মেয়ের যৌন নিগ্রহ করেন। স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে। ওই ছাত্রীকে আরও বেশি নিগ্রহ করা হত বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত দুই শিক্ষক ওই ছাত্রীকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেন বলেও অভিযোগ বাবা-মায়ের।
এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল ওই ছাত্রী। গত মঙ্গলবার সন্ধেয় বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নয়ডা পুলিশ এই ঘটনায় তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
নয়ডা সিটি এসপি জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। তিনি জানিয়েছেন, নিহত ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেছেন যে, স্কুলের দুই শিক্ষক তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছেন এবং জেনেশুনে তাকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিয়েছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬, ৫০৬ এবং যৌন অত্যাচার থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা আজ স্কুলে যাবেন বলে জানিয়েছেন এসপি।



স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। স্কুল সিবিএসই-র প্রমোশন নীতি মেনে চলে। ওই ছাত্রীকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয়নি। তার ফের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। ঘটনার তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।