আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী গতকাল সিঙ্ঘু বর্ডারে সেখানে তিনি বলেছিলেন যে, আমরা সেবাদারদের মতো কাজে আশব এবং তাঁদের পাশে দাঁড়াব। সেখান থেকে ফেরার পর দিল্লি পুলিশ তাঁর বাসভবনের চারদিকে ব্যারিকেড তৈরি করে। এভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অঙ্গুলি হেলনে কার্যত গৃহবন্দির মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
ভরদ্বাজের আরও অভিযোগ, কেজরীবালের বাড়িতে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। গতকাল বিধায়কদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ছিল। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ তাঁদের মারধর করে। কর্মীদেরও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওযা হচ্ছে না। বিজেপি নেতাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে তাঁর বাসভবনের বাইরে।
আম আদমি পার্টির এই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ডিসিপি উত্তর অ্যান্টো আলফোন্সে বলেছেন, আপ ও অন্য কোনও দলের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে এটা একেবারেই স্বাভাবিক মোতায়েন। মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করা হয়নি। এ ব্যাপারে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যেখানে খুশি যেতে পারেন।
সোমবার কেজরীবাল কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা দেশব্যাপী ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে বলেছিলে, তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সামিল হবেন।
উল্লেখ্য, পঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে হাজার হাজার কৃষক দিল্লির উপকণ্ঠে যে সমস্ত স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন, সেগুলির মধ্যে অন্যতম সিঙ্ঘু বর্ডার। গত ২৬ নভেম্বর থেকে চলছে কৃষকদের এই বিক্ষোভ। গত সেপ্টেম্বরের সংসদের বাদল অধিবেশনে অনুমোদিত তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এই বিক্ষোভ চলছে।
এই প্রথম বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেছেন কেজরীবাল। আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক বলেছেন, আমার সরকার ও দল বিক্ষোভকারীদের পাশে রয়েছে।
কেজরীবাল ও আম আদমি পার্টি বিক্ষোভরত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং সংসদে অনুমোদিত আইনের সমালোচনায় মুখর। যদিও এই বিতর্কিত তিন আইনের মধ্যে একটি আইন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে দিল্লি সরকার।
কেজরীবাল গতকাল বলেন, আপ সমর্থক ও বিধায়করা এখানে বিক্ষোভরত কৃষকদের ধারাবাহিকভাবে সাহায্য করবেন। কৃষকরা তাঁদের দাবি নিয়ে উপযুক্ত সমাধান খুব শীঘ্রই পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।