তিরুবনন্তপুরম: আরএসএস কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনার পর কেরলের কোট্টায়াম জেলায় নতুন করে হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু-র অফিসে হামলা এবং আরএসএসের জেলা দফতরে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি ও সিপিএম। এরইমধ্যে  পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বিজেপি-আরএসএসের শীর্ষনেতাদের।  বৈঠকে শান্তি বজায় রাখা ও হিংসা ঠেকানোর জন্য উদ্যোগ সমর্থনের সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছেন নেতৃবৃন্দ। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। হিংসা মোকাবিলায় আগামী ৬ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী সর্বদল বৈঠক ডাকারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি কুম্মানাম রাজশেখরন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজাগোপাল, আরএসএস নেতা পি গোপালনকুট্টি এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক কোদিয়ারি বালকৃষ্ণণ অংশ নেন। বৈঠকের পর বিজয়ন জানিয়েছেন, কান্নুর,কোট্টায়াম এবং তিরবনন্তপুরমেও এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তার তীব্র নিন্দা করে বিজয়ন বলেছেন, এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলিকে নজরদারি রাখতে হবে এবং হিংসার পথ পরিহার করতে দলীয় কর্মীদের সচেতন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আগের বৈঠকগুলিতেও দলীয় অফিস ও কর্মীদের বাড়িতে হামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও যেভাবে বিজেপির একটি অফিস ও কোদিয়ারি বালকৃষ্ণনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে সতর্ক হতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছেন, শান্তি রক্ষার জন্য সরকারের উদ্যোগকে সব ধরনের সমর্থন করবে দল।  তিনি আরও বলেছেন যে, তাঁরা রাজ্যে শান্তি চান। একইসঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় ও সম্প্রদায়গত সংগঠনগুলি যাতে নির্বিঘ্নে তাদের কাজকর্ম চালাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।  পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজেশ নামে এক আরএসএস কর্মী খুন হন। তাঁর খুনের ঘটনায় গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে রাজ্যপাল গতকাল মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে তলব করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি কেরলে রাজনৈতিক হিংসার নিন্দা করেছিলেন।