মুম্বই: বৃহন্মুম্বই পুরনিগম বা বিএমসি-র ২২৭টি মিউনিসিপ্যাল ওয়ার্ডে চলছে নির্বাচন। ২২৭৫জন ভোটপ্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে এদিন। এছাড়াও মহারাষ্ট্রের ১০টি বড় শহর ও বেশ কয়েকটি জেলায় আজ আঞ্চলিক ভোট চলছে। বৃহস্পতিবার ভোটের ফল ঘোষণা।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভোটকে বলা হচ্ছে মিনি বিধানসভা নির্বাচন। দেবেন্দ্র ফডনবীশ সরকারের কাজে মানুষ কতটা সন্তুষ্ট, তা পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে এই ভোটে। শিবসেনার সঙ্গে জোট ভাঙার পর এই প্রথম নির্বাচনে শক্তি পরীক্ষায় নেমেছে দু’দল। রয়েছে শক্তিশালী এনসিপি ও কংগ্রেস। তা ছাড়া রাজ ঠাকরের এমএনসি। ফলে এখনও পর্যন্ত কারা এগিয়ে রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। অল্প ভোটের ব্যবধানেই অনেক কিছু ওলটপালট হয়ে যেতে পারে।

২৮৮জনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপির ফডনবীশ সরকারের বিধায়কসংখ্যা ১২২। শিবসেনার সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছে তারা। আড়াই বছর পর বিধানসভা ভোট। তার আগে এই নির্ভরতা থেকে বার হতে বিজেপি দ্রুত রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা আরও বাড়াতে চায়।

সম্ভবত এ কারণেই কোনও রাখঢাক না রেখে প্রতিটি প্রচারে শিবসেনাকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীশ। লড়াইটা নিয়ে গিয়েছেন তাঁর ও সেনাপ্রমুখ উদ্ধব ঠাকরের ব্যক্তিগত যুদ্ধে। সুযোগ পেলেই উদ্ধবের প্রতি আক্রমণ শানিয়েছেন, দাবি করেছেন, বিএমসি-র কাজে স্বচ্ছতা আনতে বিজেপি-কে তুমুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে জিতিয়ে আনতে হবে। আর যেভাবে তিনি শুধু শিবসেনাকে টার্গেট করেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, এই লড়াই স্রেফ আগের দুই বন্ধুর মধ্যে সীমাবদ্ধ, যারা এখন শত্রু হয়ে গিয়েছে। ফলে হাই প্রোফাইল এই যুদ্ধে কিছুটা হলেও সাইডলাইনে চলে গিয়েছে এনসিপি, কংগ্রেস।

ফডনবীশের প্রচারের জোরে মনে করা হচ্ছে, নাগপুর, অমরাবতী ও আকোলা পুরনিগম দখলে রাখতে পারে বিজেপি। তাদের আশা, মুম্বই, নাসিক, পুনে সহ ১০টি পুরনিগমের ৬টিই জিতবে তারা। পাশাপাশি জিতবে গত সপ্তাহে নির্বাচনে যাওয়া জেলা পরিষদগুলির দুই তৃতীয়াংশ আসন। যদিও শহরের দিকে না হলেও নোটবাতিল ও কৃষকদের সমস্যা রাজ্যের বাকি অংশে প্রভাব ফেলতে পারে।

উল্টোদিকে শিবসেনা আগের কট্টরপন্থী ভাবমূর্তি সরিয়ে নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ মুখ তুলে ধরতে আগ্রহী। তাদের আশা, মুম্বই ও থানে-তে জিতবে তারাই, জেলা পরিষদেও ক্ষমতা বাড়াবে।

বিরোধী কংগ্রেস আর এনসিপি চেষ্টা করছে মুম্বই, পুনে ও রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় নিজেদের ভোট ধরে রাখতে। আগের বিএমসি ভোটে কংগ্রেস পায় ৫২টি আসন, এনসিপি ১৪টি।