নয়াদিল্লি: ১১ মার্চ ছত্তিশগড়ের সুকমায় ১২ সিআরপিএফ জওয়ানকে খতম করেছে, তার রেশ কাটতে না কাটতেই সেখানকার বুরকাপালে গত ২৪ এপ্রিল পরিকল্পিত হামলায় ২৫ আধাসামরিক জওয়ানকে হত্যা করেছে মাওবাদীরা। এবার পাল্টা মাওবাদী দমনে বিশেষ গেরিলা অভিযান চালাতে সক্ষম কোবরা ব্যাটালিয়নের প্রায় ২ হাজার জওয়ানকে সুকমা ও তার আশপাশে নামাচ্ছে সিআরপিএফ। এজন্য পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, তেলঙ্গানা ও মধ্যপ্রদেশে এখন যেখানে নিযুক্ত রয়েছে, শীঘ্রই সেখান থেকে অন্তত ২০-২৫ কোম্পানি কোবরা বাহিনীকে বিমানে বস্তারে পাঠানোর ব্লুপ্রিন্ট বানিয়েছে আধা সামরিক বাহিনী। প্রতিটি কোবরা কোম্পানিতে প্রায় ১০০ জওয়ান থাকে।
জনৈক সরকারি অফিসার বলেন, কোবরা বাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপারেশন চালায়, উচ্চ প্রশিক্ষণ পাওয়া কমান্ডো টিম হিসাবে তাদের তৈরি করা হয়েছে। শত্রুকে নিষ্ক্রিয় করে তাদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় তারা। ওদের নিজেদের ক্ষতি হয় সামান্যই। কোবরা টিমকে বিশেষ ভাবে কাজে লাগানো হবে বাহিনীর হত্যার আনুপাতিক হার বাড়িয়ে মাওবাদীদের কৌশলগত পাল্টা আঘাত হানার অভিযানের বড়সড় ক্ষতি করতে।
প্রতি বছরই গ্রীষ্মে কৌশলগত পাল্টা হামলা চালায় মাওবাদীরা। নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানরা দীর্ঘ সময় ধরে যখন প্রখর রোদে পাহারা দেন বা রাস্তা নির্মাণের সময় কঠিন অসমতল এলাকায় নজরদারিতে ব্যস্ত থাকেন, তখন আচমকা হামলা চালিয়ে তাঁদের হত্যা করে অস্ত্রশস্ত্র লুঠপাট করে তারা।
বর্তমানে মোট ১৫৪টির মধ্যে ৪৪টি কোবরা টিম এ ধরনের অভিযানে ছত্তিশগড়ে রয়েছে। ওদের বস্তার এলাকায় অর্থাত্ সুকমা, দান্তেওয়ারা ও অন্যত্র নিয়োগ করা হয়েছে।
কয়েকটি মাওবাদী কবলিত রাজ্য দাবি করেছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, আরও বেশি ব্যাটালিয়ন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী দেওয়া সম্ভব নয়।
সরকারি কর্তাটি বলেন, নিয়মিত বাহিনী পাঠানো সম্ভব নয় এবং বাহিনীর অভিযান ধাক্কাও খেয়েছে, তাই কোবরা বাহিনীই মাওবাদীদের লোকবল ও অস্ত্রবল নির্মূল করার অভিযান চালাবে। পাশাপাশি বস্তারের এমন বেশ কিছু বিশেষ এলাকা, যেখানে সশস্ত্র মাওবাদীরা সক্রিয়, সেখানে ফের নিয়োগ করা হবে সিআরপিএফ ও বিএসএফ-কে। কোবরা বাহিনীকে সাহায্য করতে ভারতীয় বায়ুসেনার উড়ানের সময়ও বাড়ানো হবে। এখন বায়ুসেনার বিমান মাসে সর্বোচ্চ ১২০ ঘন্টা উড়ান চালায়, তা বেড়ে ১৬০ ঘন্টা করা হবে।