কোয়েম্বাত্তুর: এক টাকায় ইডলি! অবাক লাগতে পারে, কিন্তু এটাই সত্যি। ৮৫ বছর বয়সেও এই যৎসামান্য দামেই ইডলি বিক্রি করে চলেছেন কোয়েম্বাত্তুরের কমলাথাল। তিনি অবশ্য পরিচিত ‘ইডলি পাত্তি’ বা ‘পাতিমা’ নামে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন জারি হওয়ার পর তাঁর ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি ইডলির দাম বাড়াতে নারাজ।


এই কঠিন পরিস্থিতিতে ‘পাতিমা’-র পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু মানুষ। ভারতীয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. পি কলিরাজ খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে এই বৃদ্ধাকে সাহায্য করেছেন। তাঁর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা সবসময় খোলা বলেও জানানো হয়েছে। হিন্দুস্তান স্কাউটস অ্যান্ড গাইডসের সদস্যরাও ‘পাতিমা’-কে সাহায্য করছেন। ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনও তাঁর খোঁজ নিয়েছেন।

নিজে প্রবল আর্থিক সমস্যায় থাকলেও, আদর্শ থেকে সরতে নারাজ এই বৃদ্ধা। তিনি জানিয়েছেন, ‘করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সমস্যায় আছি। তবে তা সত্ত্বেও আমি এক টাকায় ইডলি দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি ইডলির দাম বাড়াব না। সব জিনিসের দাম বাড়ছে। অনেক লোক আসছে। ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকরা এখানে আটকে পড়েছে। অনেকেই আমাকে সাহায্য করছে।’