নয়াদিল্লি: হয় তিনি প্রতিশ্রুতি মতো কৃষক-ঋণ মকুব করবেন, না হলে রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন। এমনটাই জানিয়ে দিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। কংগ্রেসের সমর্থনে গত সপ্তাহে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন জেডিএস নেতা। জানান, কৃষি ঋণ মকুব নিয়ে যে গাইডলাইন রয়েছে, সেই মোতাবেক কী করা যায়, তা নিয়ে বুধবার আলোচনায় বসবেন।


এদিন নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন কুমারস্বামী। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম কৃষিঋণ মকুব করব। নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলাম, যে ২৪-ঘণ্টার মধ্যে তা কার্যকর করব। একটু ধৈর্য্য ধরুন। ঠিক করব। তিনি যোগ করেন, যদি তেমনটা না করতে পারি, তাহলে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেব। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকেও ইস্তফা দেব।


কুমারস্বামী জানান, এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা যে তাঁর সমালোচনা শুরু করেছে, তা তিনি বিলক্ষণ জানেন। ইয়েদুরাপ্পাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আমি ইয়েদুরাপ্পা নই যে চুপ করে বসে থাকব। জানান, কৃষিঋণ মকুব করার গাইডলাইন চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বুধবার বেঙ্গালুরুতে তা প্রকাশ করা হবে।


মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। মানুষের প্রতি তাঁর আহ্বান, বিজেপির এই ফাঁদে পা না দিতে। তাঁর আশ্বাস, কর্নাটকে জেডিএস সরকারর মানুষের হয়ে কাজ করবে। যতদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, ততদিন মানুষের সেবা করবেন। কুমারস্বামী বলেন, (বিজেপির) মন্তব্যে অযথা বিভ্রান্ত ও আতঙ্কিত হবেন না। শুধু কৃষি-সংক্রান্ত নয়, মানুষের স্বার্থ জড়িত অন্যান্য বিষয় নিয়েও কাজ করব।


প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে, এদিন শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন কুমারস্বামী। সেখানে মূলত দফতর-বণ্টন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের বাসভবনে মিলিত হন কংগ্রেস ও জেডিএস নেতারা।


কুমারস্বামী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর, প্রবীণ কং নেতা অহমেদ পটেল এবং কর্নাটকে এআইসিসি ভারপ্রাপ্ত কে সি বেণুগোপাল। সূত্রের খবর, এখনও দফতর-বণ্টন চূড়ান্ত না হলেও, দুপক্ষেরই আশা, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তা সম্ভব হবে।