নয়াদিল্লি: দেশে করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু, দাবি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ( আইএমএ)-এর। চিকিৎসকদের এই সংগঠনের দাবি, দেশে কোভিড পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ঠেকানো যায়নি গোষ্ঠী সংক্রমণ।


সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শনিবার আইএমএ-র চেয়ারপার্সন ভি কে মঙ্গার দাবি, প্রতিদিন দেশে ৩০ হাজারের বেশি সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সংক্রমণের পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। যদিও গ্রামীণ এলাকায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এটা খুবই খারাপ লক্ষ্মণ। যদিও গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা অস্বীকার করেছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যাণ অনুসারে, শনিবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০,৩৮,৭৭৬-এ পৌঁছে গিয়েছে। সক্রিয় আক্রান্ত ৩,৫৮,৬২৯। সুস্থ ৬,৫৩,৭৫১। মৃতের সংখ্যা ২৬,২৭৩। মঙ্গা আরও বলেছেন, সংক্রমণ দেশের ছোট শহর ও গ্রামগুলিতে ছড়িয়ে পড়ছে, যেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন।

তিনি যোগ করেন, দিল্লিতে রাশ টানা গিয়েছে। কিন্তু মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরল, গোয়া, মধ্যপ্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে কী ঘটছে? এই বিষয়গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং রাজ্য সরকারগুলির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ সচেতন হতে হবে এবং কেন্দ্রের কাছ থেকে সাহায্য চাইতে হবে।

গত ১৭ জুলাই পর্যন্ত ১,৩৪,৩৩,৭৪২ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে শুক্রবার ৩,৬১,০২৪ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে। পরীক্ষার ব্যবস্থা আইসিএমআর নিয়মিত ঢেলে সাজাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে ৮৮৫ টি সরকারি ল্যাব ও ৩৬৮ বেসরকারি ল্যাবে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে।

মঙ্গা বলেছেন, এটি ভাইরাল রোগ, যা দ্রুত ছড়ায়। এই রোগ প্রতিরোধে দুটি বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, জনগোষ্ঠীর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠা। অন্যটি হল, টিকাদান।

মঙ্গা বলেছেন, টিকা তৈরির ক্ষেত্রে কয়েক দফায় মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে হবে। এরপর হবে কার্যক্ষমতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি দেখা হবে। সেই সঙ্গে এটা দেখাও গুরুত্বপূর্ণ যে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতদিন স্থায়ী হয়। কারণ, বেশিরভাগ রোগীরই প্রতিরোধ ক্ষমতা তিনমাসের বেশি হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, শনিবারই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, তিরুঅনন্তপুরমের দুটি উপকূলবর্তী এলাকা পুনথুরা ও পুল্লুভিলাতে গোষ্ঠী সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।