তিরুঅনন্তপুরম: শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, র‌্যানসমওয়্যার হামলা হয়েছে কেরলেও। যদিও, কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।


কেরলের সাইবারডোমের আইজি মনোজ আব্রাহাম জানান, কেরলের পথনমথিত্তা জেলার আরুভাপ্পুলম পঞ্চায়েত ও ওয়েনাদের তারিয়াতুড়ো পঞ্চায়েতে চারটি কম্পিউটার সাইবারহানার শিকার হয়েছে। তবে, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি বা বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। শুধু কম্পিউটারগুলি ‘লকড’ হয়ে যায়।


এরপরই, জনসাধারণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করে কী করা এধরনের হামলা হলে এবং তা রুখতে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, তা জানিয়ে দেয় কেরল পুলিশের প্রযুক্তি গবেষণা ও উন্নয়ন (আর অ্যান্ড ডি) বিভাগ সাইবারডোম।


কেরল পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এমন হামলা হতে পারে তারা আগাম আঁচ করেছিলেন। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। তিনি জানান, গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই, র‌্যানসমওয়্যার ‘ওয়ানাক্রাই’ সম্পর্কে প্রত্যেক ব্যক্তি ও সংস্থাকে অবগত করার কাজ করছে পুলিশ।


সাইবার হামলা রুখতে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করে সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সকল কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে অবিলম্বে অ্যান্টি-ভাইরাস ইনস্টল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওই আধিকারিক।


কেরলের পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গেও তিন জেলায় র‌্যানসমওয়্যার হামলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভাইরাস হানার ফলে দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসের কম্পিউটার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মুক্তিপণও দাবি করে হ্যাকাররা। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা ও নারায়ণগড়, পূর্ব মেদিনীপুরের শ্রীচৈতন্যপুর, ব্রজলালচক ও দক্ষিণদিনাজপুরের বালুরঘাটে র‌্যানসমওয়্যার হামলা হয়।


প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের ১০০-টির বেশি দেশে হানা দিয়েছে র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাস। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রিটেন ও রাশিয়া। সাইবার বিশেষজ্ঞরা একে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাইবার হানা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।