নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সামাল দিতে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠছে। এরই মধ্যে চিনে উৎপন্ন আর একটি ভাইরাস মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে বলে সতর্ক করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। যে ভাইরাসটি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে চলেছে তার নাম ক্যাট কিউ। শূকর ও কিউলেক্স প্রজাতির মশা থেকে আর্থোপডবাহিত এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। ইতিমধ্যেই ক্যাট কিউ ভাইরাসের বহুল সংক্রমণ ঘটছে চিন এবং ভিয়েতনামে। ভারতে এই সংক্রমণ ছড়ানোর যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে বলে মত আইসিএমআর-এর।
এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে প্রবল জ্বর, মেনেনজাইটিস, শিশুদের এনসেফালাইটিস হতে পারে।
পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভায়রোলজি এবং আইসিএমআর জানাচ্ছে, ৮৮৩ জনের সিরামের নমুনা পরীক্ষা করে মাত্র ২ জনের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই দুজন কোনও সময় ক্যাট কিউ আর্থোপডবাহিত ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। আইসিএমআরের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন স্তন্যপায়ী সোয়াইনের মধ্যে ভেক্টরের উপস্থিতি ও জঙ্গল ময়না থেকে সিকিউভি অরথোবুনিয়াভাইরাস জনস্বাস্থ্যে এই রোগজীবাণু বহন করে।
মানবদেহে সিরামের নমুনায় এই ভাইরাসের অ্যান্টিবডির উপস্থিতি প্রমাণ করে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে সিকিউভি-র জন্য আইসিএমআর মলিকিউলার ও সেরোলজিকাল টেস্ট করার পরিকল্পনা করছে। মশার তিন ধরনের প্রজাতির মাধ্যমে সিকিউভি ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এগুলি হল এডিস ইজিপ্টাই, কিউলেক্স কুইনকুফেসিয়্যাটাস এবং সিএক্স ট্রাইটেইনিওরিহেন্সাস।
মশার এই রোগের বাহক হতে পারে এর স্বপক্ষে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মশার মাধ্যমে এই রোগ ভারতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এই ভাইরাসের চরিত্র বুঝতে গেলে আরও বেশি সংখ্যক সিরামের নমুনা পরীক্ষা করে দেখতে হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।ভারতে এই রোগ কত দ্রুত ছড়াতে পারে এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সেগুলির জন্য সিরাম পরীক্ষা করা দরকার। তবে পাখির মাধ্যমে এই রোগ সংক্রমিত হয় কিনা, তার নির্ভরযোগ্য তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।