নয়াদিল্লি: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে (এএমইউ) মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি রাখায় আলিগড়ের বিজেপি সাংসদ সতীশ গৌতমের বিরোধিতার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি বললেন, জিন্না ভারতের মুসলিমদের রোল মডেল নন। ১৯৩৮ সালে যখন জিন্নাকে এএমইউ ছাত্র সংসদের আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল, তারপর থেকে ভারতের পরিস্থিতি 'বদলে গিয়েছে'। জনসাধারণের সেন্টিমেন্টের কথা মাথায় রেখেই জিন্নার ছবি রাখাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্কের মীমাংসা করা উচিত বলে মনে করেন নকভি। তিনি বলেন, জিন্না ভারত বা ভারতীয় মুসলিমদেরও রোল মডেল বা আদর্শ নন। এএমইউ প্রশাসন ও সেখানকার পড়ুয়ারা দেশপ্রেমিক। ওঁদের দেশপ্রেম সম্পর্কে সংশয় থাকার কোনও প্রশ্নই নেই। আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে, তাঁরা সংবেদনশীল মানসিকতার সঙ্গেই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলবেন।
এ নিয়ে বিতর্কও আর বেশি দূর বাড়তে দেওয়া উচিত নয় বলে অভিমত জানান নকভি।
বিজেপি সাংসদ গৌতম গতকালই জিন্নার ছবি রাখার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলে চিঠি দেন এএমইউ-এর উপাচার্য তারিক মনসুরকে। গতকালই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের মুখপাত্র সৈফি কিদোয়াই বহু দশক ধরে তাঁদের দপ্তরে পাকিস্তানের প্রাণপুরুষের ছবি রাখার পক্ষে সওয়াল করেন, জিন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন, তাঁকে ইউনিয়নের আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল।