লখনউ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের তিন বছরের ব্যর্থতার খতিয়ান তুলে ধরতে প্রকাশিত একটি বুকলেট  নিয়ে অস্বস্তিতে কংগ্রেস। বুকলেটের মানচিত্রে জম্মু ও কাশ্মীরকে ‘ভারত অধিকৃত কাশ্মীর’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এর তীব্র সমালোচনা করেছে।
কংগ্রেসের রাজ্যসভা নেতা গুলাম নবি আজাদ লখনউতে সাংবাদিক বৈঠকে মোদী সরকারের  বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব হন। সেখানেই ওই বুকলেটটি প্রকাশ করা হয়। বুকলেটে একটি মানচিত্র রয়েছে যেখানে কাশ্মীরকে ‘ভারত অধিকৃত কাশ্মীর’ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এই ভুলের জন্য কংগ্রেস ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। দলের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে যে,  এ ধরনের ভুল মানচিত্র যাতে না প্রকাশিত হয় তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব ছিল। বিজেপি এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে নিশানা করেছে।  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, এই ঘটনা দুঃখজনক। শুধু তাই নয়, আজাদের মতো কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এমন মানচিত্র প্রকাশ করছেন যেখানে কাশ্মীরকে 'ভারত অধিকৃত কাশ্মীর' বলা হয়েছে। এভাবে কংগ্রেস কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের খুশি করতে চাইছে বলেও অভিযোগ প্রসাদের। সেই সঙ্গে সীমান্তের ওপারে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পৃষ্ঠপোষকরাও এতে খুশি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এটা খুবই নিন্দাজনক।
উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতার অভিযোগ, এ ধরনের মানচিত্র প্রকাশ ‘দেশদ্রোহিতা’র সামিল। তাঁর দাবি, এ জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে ক্ষমা চাইতে হবে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন বলেছেন, বুকলেটে ছাপা মানচিত্র ‘ছাপার ভুল’। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এ ধরনের ভুল যাতে না হয়, সেজন্য সতর্ক থাকা প্রয়োজন  ছিল। তিনি ক্ষমাপ্রার্থনা করে এ ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি আর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন।
একইসঙ্গে কংগ্রেস দাবি করেছে, বিজেপিও তাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনেরই একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল। কিন্তু বিজেপি তাদের ভুল স্বীকার করেনি।২০১৪-র ২৮ মার্চ বিজেপির ওয়েবসাইটে এ ধরনের মানচিত্র দেখানো হয়েছিল। এছাড়াও মাকেন আরও দাবি করেছেন, ওই বছরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে চিনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরের সময় একটি মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল যাতে অরুনাচল প্রদেশকে চিনের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল। মাকেন বলেছেন, কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে ফারাক হল, কংগ্রেস ভুল স্বীকার করে, কিন্তু বিজেপি করে না।