আমদাবাদ: গুজরাতে বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস পেল বাড়তি উত্সাহ।  রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণীর নেতা অল্পেশ ঠাকোর কংগ্রেসে যোগদানের কথা জানালেন। কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন অল্পেশ।

এর আগে কংগ্রেস পতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেল, অনগ্রসর শ্রেণীর নেতা অল্পেশ ও দলিত নেতা জিগনেশ মেভানিকে দলে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। এক সাংবাদিক বৈঠকে সোলাঙ্কি জানান, তিন ভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাকে কংগ্রেসে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে গুজরাত ওবিসি একতা মঞ্চ ও স্থানীয় ঠাকোর সেনার নেতা অল্পেশ কংগ্রেসে যোগ দানের কথা ঘোষণা করেছেন। গুজরাতের অনগ্রসর শ্রেণীর মধ্যে তাঁর প্রভাব রয়েছে। হার্দিক অবশ্য নিজে ভোটে না লড়ার কথা বলেছেন। জিগনেশ এখনও কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেননি।  কিন্তু দুজনেই বলেছেন, গুজরাতের শাসক দলকে হারাতে একজোট হতে হবে।

গতকাল অল্পেশ রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাতে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অশোক গেহলট ও প্রদেশ সভাপতি ভরতসিন সোলাঙ্কি।

এই বৈঠকের পর অল্পেশ জানান, আগামী ২৩ অক্টোবর, সোমবার রাহুলের সভায় যোগ দেবেন তিনি। ওই সভা থেকেই কংগ্রেস যোগ দেবেন।

সোলাঙ্কি জানিয়েছেন, নিজের টিম নিয়ে অল্পেশ রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন এবং ‘গুজরাতের স্বার্থে’ কংগ্রেসে যোগগানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর পাশাপাশি কংগ্রেস এনসিপি-র সঙ্গে জোট বাঁধার ইঙ্গিত দিয়েছে। একইসঙ্গে গুজরাতে একমাত্র জেডি-ইউ বিধায়ক ছোটু ভাসাভাকে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, অল্পেশের কংগ্রেসে যোগদান কিছুটা হলেও চিন্তায় ফেলেছে বিজেপিকে। এর পাল্টা হিসেবে হার্দিকের ঘনিষ্ঠ দুই পতিদার নেতা বরুণ ও রেশমা পটেলকে দলে সামিল করায় বিজেপি। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের পর দলে যোগ দানের সিদ্ধান্ত জানান বরুণ ও রেশমা। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি, উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল এবং দলের রাজ্য শাখার প্রধান জিতু ভাগানিও।

বরুণ ও রেশমা হার্দিককে ‘কংগ্রেসের এজেন্ট’ বলেও তোপ দেগেছেন।