নয়াদিল্লি: ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের সাংসদ ই আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আজ সংসদের বাইরে ও ভিতরে সরব হল কংগ্রেস ও বাম দলগুলি। তাদের বিক্ষোভের জেরে লোকসভার অধিবেশন দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায়।

৩১ জানুয়ারি সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন ই আহমেদ। পরেন দিন ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। বাম ও কংগ্রেস সাংসদদের অভিযোগ, ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের চাপে ই আহমেদকে জীবিত দেখানো হয়েছিল। এই ঘটনা নিয়ে সংসদীয় কমিটির তদন্ত করা উচিত। প্রয়াত সাংসদ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন বাম ও কংগ্রেস সাংসদরা।

লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের অভিযোগ, ‘ই আহেমেদের দেহ অমানবিকভাবে রাখা হয়েছিল। ৬-৭ ঘণ্টা তাঁর সঙ্গে মেয়ে-জামাইকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, বাজেট পেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকার কীভাবে এত বড় ঘটনা আড়াল করে রেখেছিল। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী সহ অন্যান্য নেতাদেরও ই আহমেদকে দেখতে দেওয়া হয়নি। হাসপাতালে তাঁর দেহ রাখার জন্য চিকিৎসকদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল সরকার। আমাদের দাবি, এ বিষয়ে সরকারকে বিবৃতি দিতে হবে এবং তদন্তের জন্য সংসদীয় কমিটি গঠন করতে হবে। যাঁরাই এই ঘটনার জন্য দায়ী হোন না কেন, তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে।’

রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, তাঁরা জানতে পেরেছেন, ঘোষণার অনেক আগেই ই আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বাজেট পেশ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর মরদেহ হাসপাতালে রাখতে চেয়েছিল সরকার।

জিরো আওয়ারে সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ই আহমেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে যা হয়েছে, তার তদন্ত দাবি করছেন তাঁরা।