মুম্বই: সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও কর্নাটক বিধানসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মর্যাদা পাবে কংগ্রেস। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত এই দাবি করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দিয়ে কর্নাটকে ভোটপ্রচার করানোর জন্য বিজেপির সমালোচনা করেছেন তিনি।


বেশ কিছুদিন হল বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে তাদের প্রাচীনতম জোটসঙ্গী শিবসেনা। আগে থেকেই দুদলের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না, আর এখন তো কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ। নিজেদের মুখপত্র সামনাতে তো বটেই, অন্যত্রও সুযোগ পেলেই শিবসেনা নেতানেত্রীরা বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় রাউতও বলে দিয়েছেন, মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদ ভোটে বিজেপি-শিবসেনা বোঝাপড়া রয়েছে ঠিকই কিন্তু তার মানে এই নয় যে আগামী লোকসভা ও বিধানসভা ভোটেই সেনা বিজেপির সঙ্গে সমঝোতায় যাবে।

সঞ্জয়ের মন্তব্য, কর্নাটকে এখন ধুলো ঝড় চলছে। তা থেমে গেলেই দেখা যাবে, কংগ্রেস একক বৃহত্তম দলের মর্যাদা পেয়েছে। মানুষ এখন রাহুল গাঁধীর কথা শুনতে শুরু করেছে বলে তাঁর দাবি।

তাঁর বক্তব্য, যখনই বিধানসভা ভোট আসছে, গোটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে প্রচারে নামিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। একইভাবে ডেকে আনছে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও। ফলে কেন্দ্র ও রাজ্য- দু’জায়গাতেই প্রশাসনিক কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশবাসী দেখছেন সব কিছু।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ধুলো ঝড়ে যোগীর নিজের রাজ্য বিপর্যস্ত অথচ তিনি ছিলেন কর্নাটকে, করেছেন ভোটপ্রচার। এতেই বোঝা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাজকে কতটা গুরুত্ব দেন তিনি। সঞ্জয়ের প্রশ্ন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি রাজ্য নেতাদের ওপর ভরসা করতে পারেন না? তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজ্যে এসে একের পর এক সভায় ভাষণ দিতে হয় কেন! তাঁর তো দিল্লিতে থেকে দেশ চালানোর কথা।