নয়াদিল্লি: বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের মালিকানাধীন সংস্থার বার্ষিক আয় নিয়ে এবার মোদী সরকারকে আক্রমণ করল কংগ্রেস।

এদিন এক সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদামাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এক বছরে জয় শাহের সংস্থার টার্নওভার ১৬ হাজার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজেদের দাবির স্বপক্ষে রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজ (আরওসি)-র দাখিল করা তথ্যকে হাতিয়ার করেছে ওই সংবাদমাধ্যম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরওসি-র অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে জয় শাহের মালিকানধীন টেম্পল এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের বার্ষিক টার্নওভার ছিল ৫০ হাজার টাকা। সেখানে ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০ কোটি টাকা! সংবাদমাধ্যমের এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল জানান, ‘শাহের এই বিজনেস মডেল’ ব্যাখ্যা করুন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। তাঁর প্রশ্ন, এবার কি সিবিআই ও ইডিকে দিয়ে তদন্ত করাবেন প্রধানমন্ত্রী, যেমনটা তিনি বিরোধীদের ক্ষেত্রে করে থাকেন?

এখানেই থেমে থাকেননি সিব্বল। বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই সংস্থা হঠাৎ লাভ করতে শুরু করে। আরওসি পরিসংখ্যান দিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে জয় শাহের সংস্থা লোকসান করেছিল। সেখান থেকে ২ বছরের মধ্যে বার্ষিক আয় কয়েক হাজার গুণ বেড়ে গেল। এটা বিস্ময়কর।

আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীও। টুইটারে তিনি লেখেন, অবশেষে ডিমোনেটাইজেশনের লাভবানকে পাওয়া গেল। এটা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নয়, গরিব অথবা কৃষকরা। ইনি হলেন, শাহ-এন-শাহ। জয় অমিত।

https://twitter.com/OfficeOfRG/status/916937155372474373

তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটারে লিখেছেন,  অন্য রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে সিবিআই বা ইডি-কে ব্যবহার করতে সব সময় তৎপর বিজেপি। তাহলে তাঁদের সর্বভারতীয় সভাপতির ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর নয় কেন?

বামেরা জবাব চাইছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের কাছ থেকে। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, হাওয়ালায় আডবাণী ইস্তফা দিয়েছিলেন, বঙ্গারু লক্ষ্মণ তহেলকায় দিয়েছিলেন, এবার কী বলবে? এরকম গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ জবাব দিন।