তিরুঅনন্তপুরম: নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে তিনি গাঁধীবাদী মূল্যবোধ মেনে চলছেন বলে অভিমত জানিয়ে বিতর্কে কেরলের কংগ্রেস নেতা। বিজেপি-এনডিএর লোকসভা ভোটে বিরাট সাফল্যের কৃতিত্ব মোদিকে দিয়েছেন এ পি আবদুল্লাকুট্টি নামে ওই নেতা।
আবদুল্লাকুট্টি বিজেপি-এনডিএর নির্বাচনী সাফল্যকে মোদির উন্নয়ন অ্যাজেন্ডার স্বীকৃতি বলে উল্লেখ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর জয়ের চাবিকাঠি হল, তিনি গাঁধীবাদী মূল্যবোধ অনুসরণ করেছেন। দেশের গ্রাম, শহর, নগরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে বাড়ি বাড়ি ও মহল্লায় শৌচাগার বানিয়ে প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধের জন্য কেন্দ্রের স্বচ্ছ ভারত অভিযানেরও প্রশংসা করেন তিনি। যে উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে মোদি সরকার দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের মহিলাদের ৫ কোটি রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন আবদুল্লাকুট্টি।
‘নরেন্দ্র মোদির চমকপ্রদ জয়’ শিরোনামে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, বিরোধীরাই শুধু নন, বিজেপির ভিতরেও অনেকে দলের চোখধাঁধানো পারফরম্যান্সে বিস্মিত। সব রাজনৈতিক কর্মীর উচিত, নিরপেক্ষ চোখে ভোটের ফল গভীর ভাবে খতিয়ে দেখা।
২০০৯-এ কেরল সিপিএম থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আবদুল্লাকুট্টি বহিষ্কৃত হন মোদির প্রশংসা করে। মোদি তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৯৪ ও ২০০৪-এ এমপি ছিলেন আবদুল্লাকুট্টি। পরে তিনি যোগ দেন কংগ্রেসে।
এখন তিনি বলছেন, মহাত্মা গাঁধী সমাজকর্মীদের বলেছিলেন, নীতি তৈরির সময় সেই গরিব লোকটির মুখ মনে করুন, যাঁর সঙ্গে আপনার দেখা হয়েছে। মোদি একেবারে সেটাই করছেন। কেন্দ্রের স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্পে ৯.১৬ কোটি পরিবার শৌচাগার পেয়েছে, উজ্জ্বলা স্কিমে ৬ কোটি বিপিএল পরিবার নিখরচায় রান্নার গ্যাসের সংযোগ পেয়েছে। আগে কেরলের বাইরে গেলেই দেখতাম গরিব লোকজন খোলা জায়গায় প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারছে। মোদি কিছুটা হলেও তাঁদের সুবিধা করে দিয়েছেন। রান্নার গ্যাসের অভাবে গরিব মহিলারা আগে গোবরে তৈরি ঘুঁটে, কাঠ পুড়িয়ে রান্না করতেন। স্মার্ট সিটি, বুলেট ট্রেন, আরও নানা স্বপ্নের প্রকল্প মোদির রাজনৈতিক এজেন্ডায় ঢুকেছে, এদিকে চোখ বুজে থাকলে হবে না। মোদির সমালোচনা করার সময় এসব মাথায় রাখতে হবে।
কেরল কংগ্রেস সভাপতি মুল্লাপল্লি রামচন্দ্রন এজন্য তাঁর ব্যাখ্যা তলব করা হবে বলে জানিয়ে বলেছেন, আমার মত, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তাঁর বিরুদ্ধে।