এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। দিল্লি বিজেপির নেতা হরিশ খুরানা একটি ছবি ট্যুইটারে পোস্ট করে দাবি করেন, রাজঘাটে দলিতদের ওপর নিগ্রহ, সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, অনশনে বসার আগে রাজধানীর এক রেস্তোরাঁয় পেট ভরে ছোলে বাটুরে খেয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। বলেন, বা দারুণ, আমাদের কংগ্রেস নেতারা লোকজনকে অনশন কর্মসূচিতে আসতে বলছে। কিন্তু নিজেরাই রেস্তোরাঁয় ছোটা। বাটোরা খাচ্ছে।পরিষ্কার, মানুষকে বোকা বানাচ্ছে!
ছবিতে দেখা গিয়েছে, দিল্লি কংগ্রেস প্রধান অজয় মাকেন, অরবিন্দ সিংহ লাভলি ও অন্যরা রেস্তোরাঁয় জলখাবার খাচ্ছেন। ভাইরাল হওয়া সেই ছবির উল্লেখ করে রাহুল গাঁধীকে ব্যঙ্গ করেছেন সম্বিত পাত্র। বলেছেন, সকালে ছোলা বাটুরা খেয়ে অনশনে বসা কংগ্রেসের দ্বিচারিতাকে তুলে ধরছে। এরা সকালে ঘুম থেকে উঠে উপবাস করতে পারে না। ১০০ বাটুরে খাকে রাহুল চলে উপবাস করনে! কটাক্ষ করেন তিনি।
বলেন, আসলে এটা ছোলা বাটুরের খিদে নয়।, ক্ষমতার খিদে। ওরা ভাগ্যিস, রেস্তোরাঁ থেকে খাওয়া সেরে একই পোশাকে অনশনমঞ্চে চলে এসেছিলেন, নয়তো বলতেন, ছবি এক বছর আগের।রাজঘাটে নিজেদের মঞ্চ থেকেই মহাত্মা গাঁধীকে উপহাস করলেন রাহুল গাঁধী।
তবে কংগ্রেস নেতা লাভলি সাফাই দেন, ছবিটা সকাল আটটার আগে তোলা।সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটে পর্যন্ত প্রতীকী উপবাস ছিল, অনির্দিষ্টকালের নয়। বি্জেপির লোকজনদের এটাই সমস্যা। ঠিকমতো দেশ চালানোর পরিবর্তে ওরা কে কী খাচ্ছে, তা নিয়েই পড়ে আছে।