মুম্বই: ২১ জুন মহারাষ্ট্রের নানদেদে আন্তর্জাতিক যোগদিবসের অনুষ্ঠানে যাবেন। তার আগে বাবা রামদেবের দাবি, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গাঁধীও গোপনে যোগব্যায়াম করতেন, কিন্তু তাঁদের উত্তরসূরীরা যোগব্যায়ামকে সম্মান করেননি বলে ক্ষমতার বাইরে রয়েছেন, কারণ যাঁরা যোগাভ্যাস করেন, তাঁরা ‘সরাসরি ঈশ্বরের আশীর্বাদ পান’!
সাংবাদিকদের যোগগুরু বলেন, নরেন্দ্র মোদিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি মানুষের মাঝখানে যোগব্যায়াম করেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়করা, সকলেই যোগব্যায়াম করেন বলেও দাবি করে রামদেবের সংযোজন, এতে বিজেপির ‘গৌরব’ বেড়েছে। অতীতে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী, নেহরুও লুকিয়ে যোগব্যায়াম করতেন। কিন্তু ওঁদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো যোগব্যায়ামকে মর্যাদা দেননি। এজন্যই ওদের রাজনৈতিক ক্ষমতাপ্রাপ্তি অধরাই রয়ে গিয়েছে। যাঁরা যোগ করেন, ভগবানের প্রত্যক্ষ আশীর্বাদ পান।
রামদেব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে যে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ (যা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে), তিন তালাক, এক দেশ-এক আইন প্রভৃতি ইস্যুতে ‘বড় কাজ’ হবে, তাতে আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে। কারণ যাঁরা যোগব্যায়াম করেন, তাঁরা সবার ভাল চান।
তিনি আরও বলেন, যোগ আমাদের এক ‘বিরাট ঐতিহ্য’, তা রাজনীতি, জাতপাত, ধর্মবিশ্বাসের ঊর্ধ্বে এবং প্রত্যেকে মনে করে, যোগ ‘রাষ্ট্রধর্ম’।
খাবারে ভেজালের রমরমা প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে রামদেব চিন, আমেরিকা, ইউরোপের উল্লেখ করেন যেখানে সার ও কীটনাশক ব্যবহারের মাত্রা আইন করে বেঁধে দেওয়া আছে। বলেন, ভারতে খাবারে ভেজাল মেশানো সংক্রান্ত আইন দুর্বল। চিনে দুধ, অন্যান্য খাবারে ভেজাল মেশালে মৃত্যুদণ্ডের বিধি আছে। এখানে অন্তত যাবজ্জীবন সাজা হোক। তিনি খাবারে ভেজাল মেশানোর অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের পক্ষপাতী কিনা, জানতে চাওয়া হলে রামদেবের জবাব, ঘি, ওষুধ, ভোজ্য তেলে ভেজাল মেশালে মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হোক, চাই। সরকার এ নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবুক।