বিজয়পুরা: কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘বিভাজনের নীতি’ করার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা থেকে সমূলে উৎখাত হবে কর্নাটকের শাসক দল।
মঙ্গলবার, বিজাপুর জেলায় ভোটপ্রচারে গিয়ে সিদ্দারামাইয়া সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ফের একবার সোচ্চার হন মোদী। জানান, কর্নাটকে এমন কোনও মন্ত্রী নেই যাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি।
এদিন বক্তৃতার সময় মোদী একাধিকবার দ্বাদশ শতাব্দীর সংস্কারক-কূটনীতিক, যিনি দুর্বল শ্রেণির জন্য তথাকথিত শক্তিশালী ও প্রভাবশালী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। এই কারণে, লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের কাছে কার্যত ঈশ্বরের মতো পূজনীয়।
প্রসঙ্গত, কর্নাটকের লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় বরাবর বিজেপি-ঘেঁষা। বিজেপির মু্খ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীও নিজে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ভুক্ত। ফলে, বিজেপির ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এই লিঙ্গায়েতরা। সম্প্রতি, লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়কে ধর্মীয় ভিত্তিতে সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করে সিদ্দারামাইয়া প্রশাসন।
এই প্রসঙ্গে মোদী বলেন, কংগ্রেস বিভাজনের নীতিতে বিশ্বাস করে। তারা ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে বিভাজন করে। দুই ভাইয়ের মধ্যে লড়াই করায়। কিন্তু, বাসবেশ্বরের এই ভূমির মানুষ তা হতে দেবে না।
উল্লেখ্য, গতকালই ভোটপ্রচারে এসে মিথ্যে, ভিত্তিহীন দাবি করার অভিযোগে নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। পাশাপাশি, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তাঁদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার দায়রা ও ফৌজদারি মামলা দায়ের হবে।