কলকাতা: দুই রাজ্যে দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের জয়। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, দু’টি ক্ষেত্রেই কংগ্রেসের এই সাফল্য গুরুত্বপূর্ণ। কর্নাটকের রাজরাজেশ্বরী নগর বিধানসভা কেন্দ্রটি কংগ্রেসের দখলে ছিল।
এবার কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে বিজেপি দাবি করে, রাজরাজেশ্বরী নগরের কংগ্রেস প্রার্থী ভুয়ো ভোটার আইডি তৈরির সঙ্গে যুক্ত!এরপর এই আসনে ভোট স্থগিত করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের ফল বেরোয়।
দেখা যায় বিজেপি বৃহত্তম দল হয়েছে, কিন্তু সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগার তাদের নেই। তা সত্ত্বেও রাজ্যপালের আমন্ত্রণে কর্নাটকে সরকার গড়ে বিজেপি। কংগ্রেস দাবি, অনৈতিকভাবে বিজেপিকে সরকার গড়ার সুযোগ করে দেওয়া হল। কিন্তু, আড়াই দিনেই পড়ে যায় বিজেপি সরকার।
এরপর কংগ্রেস-জেডিএস একজোট হয়ে সরকার গড়ে। বিজেপি তখন দাবি করে, এটা অনৈতিক জোট। এই প্রেক্ষাপটে সবার নজর ছিল বেঙ্গালুরুর রাজরাজেশ্বরী নগর আসনের ভোটের ফলের দিকে।
এই আসনে কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই ছিল, সরকারে তারই শরিক জেডিএস এবং বিজেপির সঙ্গে। আর এই ত্রিমুখী লড়াইয়ে বিজেপিকে ২৫ হাজার ৪০০ ভোটে পরাজিত করল কংগ্রেস। কংগ্রেস দাবি করছে, ফল থেকেই স্পষ্ট, কর্নাটকের মানুষ বিজেপির অনৈতিকভাবে সরকার গড়ার চেষ্টাকে ভালভাবে নেয়নি।
কর্নাটকের মতোই মেঘালয়ের আমপাতি বিধানসভা আসনটিও ধরে রেখেছে কংগ্রেস। এই জয় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এই আসনে জয়ের ফলে ফের একবার মেঘালয়ে বৃহত্তম দল হয়ে গেল কংগ্রেস। সম্প্রতি মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন হয়।
কংগ্রেস ২১টি আসনে জিতে বৃহত্তম দল হয়। কিন্তু, রাজ্যপাল সেখানে কংগ্রেসকে সরকার গড়তে ডাকেনি। দু’টি আসন পেয়ে বিজেপি ভোটের পর এনপিপি ও কয়েকটি ছোট দলের সঙ্গে জোট বেধে সরকার গঠন করে। কংগ্রেসের অভিযোগ করে, অনৈতিকভাবে মেঘালয় দখল করল বিজেপি।
এরপর কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা, দু’টি আসন থেকে জেতায় একটি আসন ছেড়ে দেন। কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ২১ থেকে কমে ২০ হয়ে যায়। উল্টো দিকে একটি আসনে জিতে এনপিপি-র বিধায়ক সংখ্যা ২০ হয়। কিন্তু, নিজের ছাড়া আসনে মেয়েকে দাঁড় করিয়ে ফের দলকে জয়ী করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। যার ফলে কংগ্রেস ফের একবার বৃহত্তম দল হয়ে গেল।
এই পরিস্থিতিতে কর্নাটকের উদাহরণ দিয়ে মেঘালয়ে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারে কংগ্রেস। তাদের দাবি, বিজেপি অনৈতিকভাবে মেঘালয় জয় করাতেই মানুষ তার জবাব দিল। বিজেপি অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ।