ডালটনগঞ্জ: দ্বিতীয়বার কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার ছ মাসের মধ্যেই হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের ভোটে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এই দুই রাজ্যের একটিতেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি শাসক দল। সরকারে আসতে হরিয়ানায় ধরতে হয়েছে দুষ্যন্ত চৌতালার হাত। আর মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে। পুরনো শরিক শিবসেনা এনডিএ জোট ছেড়েছে। এদিকে সংখ্যা না থাকলেও এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের সমর্থন নিয়ে শপথ নিয়ে ফেলেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। যা নিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এমন অবস্থায় ঝাড়খণ্ড ধরে রাখতে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে ঝাপিয়েছে বিজেপি। প্রচারে নেমেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। আর সেখানেই কংগ্রেসকে তোপ দাগার সঙ্গে সঙ্গে অযোধ্যার জমি বিতর্ক সহ নকশাল সমস্যা সমাধানের মতো একাধিক বিষয় বক্তব্যে তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রী।



এদিন ঝাড়খণ্ডে প্রচারে গিয়ে অযোধ্যায় রামের জন্মভূমি ও বাবরি মসজিদ বিতর্কের সমাধানের কৃতিত্ব দাবি করলেন নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস আমলে হয়নি। তাঁরাই ক্ষমতায় এসে অযোধ্যার জমি বিতর্কের সমাধান করেছেন, বক্তব্য নরেন্দ্র মোদির। ডালটনগঞ্জের নির্বাচনী সভায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, “রামের জন্মভূমি নিয়ে অযোধ্যার জমি বিতর্কের সমাধান হয়েছে এই সরকারের আমলেই। কংগ্রেস চাইলে আগেই এই বিতর্কের সমাধান করতে পারত, কিন্তু ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে তারা তা করেনি। আর কংগ্রেসের এই নীতির জন্যই ভুগেছে গোটা দেশ।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, তাঁরা দেশের একতার মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছেন এবং রাম জন্মভূমি নিয়ে চলা দীর্ঘ বিতর্কের সমাধান করেছেন। এখানেই শেষ নয়, জন্মু কাশ্মীরে জওয়ানদের মৃত্যুর জন্যও কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্য, “নিরাপত্তার জন্য ঝাড়খণ্ডের অনেক যুবককে জম্মু-কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী কংগ্রেস।”





প্রসঙ্গত, আগামী শনিবার থেকে ঝাড়খণ্ডে ভোট শুরু। চলবে ডিসেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত। ভোট হবে পাঁচ দফায়। প্রথম দফা ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নেমেছেন মোদি। সেখানে গিয়ে রঘুবর দাসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “বিজেপি ঝাড়খণ্ডকে নকশাল মুক্ত করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে।” কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোটকে কটাক্ষ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্বার্থ নিয়ে সরকার গঠিত হয়েছে। তাঁরা কেবল ক্ষমতাভোগ করবে, এটাই তাঁদের একমাত্র এজেন্ডা। রাজ্যসম্পদের অপব্যবহার করেছেন তাঁরা। মানুষের জন্য কাজ করার কোনও ইচ্ছাই তাঁদের নেই।” ডালটনগঞ্জে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিলেন, যে পরিবার এখনও পর্যন্ত পাকা বাড়ি পাননি, তাঁদের সকলকে ২০২২ সালের মধ্যে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেবে সরকার। বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়বে এবং স্থিতিশীল সরকার থাকবে, প্রতিশ্রুতি নরেন্দ্র মোদির।